বালুরঘাট: দাবি মতো চাঁদা না পাওয়ায় শ্রমিকের বাড়িতে হামলার অভিযোগ স্থানীয় একটি ক্লাবের বিরুদ্ধে। এমনকি বাধা দিতে গেলে বাড়ির মালিককে বেধড়ক মারধর করা হয়। বর্তমানে তিনি বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ শুক্রবার রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের আটইরে। এনিয়ে শুক্রবার বিকেল বালুরঘাট থানার দ্বারস্থ হল আক্রান্ত পরিবার। এনিয়ে বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে আক্রান্তের স্ত্রী। অভিযোগ পেতেই পুরো ঘটনার তদন্তে নেমেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ। অন্যদিকে অভিযোগ অস্বীকার ক্লাব কর্তৃপক্ষের।
জানা গেছে, আটইর এলাকায় নতুন এসেছে আক্রান্ত ওই পরিবার। নতুন হওয়ায় কালীপুজা উপলক্ষে পাড়ার ক্লাবের তরফ থেকে ১০ হাজার টাকা চাঁদা চাওয়া হয়। ১০ হাজার টাকা তাদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয় বলেই আগেই জানিয়ে দেয় পরিবার। পুজোর জন্য ২ হাজার টাকা দিতে চান। তাতে আবার রাজি নয় ক্লাব। এমতাবস্থায় কালী পুজো পার হয়েছে। চাঁদা না পেয়ে বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল। চাঁদার জুলুমবাজির প্রতিবাদ করায় বাড়ির মালিককে বেধরক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
বাড়িমালিক গুরুতর জখম হয়ে বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি। এমনকি বাড়ির মালিকের স্ত্রী যুথিকা দাস সরকারকেও শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ওই ব্যক্তি বালুরঘাট শহরের একটি মোমোর দোকানে কর্মরত। বালুরঘাট ব্লকের আটইর আইটিআই কলেজের কাছে ৫ শতক জায়গা কিনেছেন। মাসখানেক আগে থাকবার মত কোনরকম ভাবে একটি বাড়ি বানিয়েছেন। এরপর থেকেই স্থানীয় একটি বারোয়ারি ক্লাবের সদস্যরা ডোনেশনের দাবি করেন। কালীপুজা উপলক্ষে ডোনেশন ও চাঁদা মিলিয়ে ১০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। কিন্তু ওই পরিবারের পক্ষে ওত টাকা মেটানো সম্ভব নয় বলেই সাফ জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ওই ক্লাবের প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। অভিযোগ, এরপরই মত্ত অবস্থায় ওই বাড়িতে চড়াও হয় ক্লাবেরই বেশ কিছু সদস্যরা। এরপরেও বচসার পরে মারধর শুরু হয়।অভিযোগ, ওই বাড়ির মালিকের স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি করা হয়। এছাড়াও বাড়ির মালিককে বাঁশ লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। আক্রান্ত বাড়ির মালিকের স্ত্রী বলেন, “আমরা এলাকায় নতুন বাড়ি করছি। ফলে ওই এলাকার একটি ক্লাবের তরফে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। আমরা ২ হাজার টাকা দিতে রাজি হয়েছিলাম। কিন্তু তারা রাজি হয়নি। স্বামীকে বেধরক মারধর করা হয়।”
অন্যদিকে এবিষয়ে বালুরঘাট সদর ডিএসপি হেডকোয়ার্টার সোমনাথ ঝা বলেন, “চাঁদা নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে একটি ঝামেলা হয়েছে। বিষয়টির অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। চাঁদার জুলুমবাজি করে থাকলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”