বালুরঘাট: বাড়ির কর্তারা তখনও আঁচ করতে পারেননি। কিন্তু তখন অদ্ভুত ভাবে আর্তনাদ করেছিল পোষ্যগুলো। বুক ফাটা আর্তনাদ শুনে যতক্ষণে ঘুম ভাঙে, ততক্ষণে বাড়ির অর্ধেকাংশ পুড়ে গিয়েছে।
দাউ দাউ করে জ্বলছে গোটা বাড়ি। আগুন লেগে পুড়ে গেল বাড়ির বেশির ভাগ গবাদি পশু। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। আগুন লাগলেও গ্রামে যেতে পারেনি দমকলের কোনও গাড়ি। কারণ যাতায়াতের মত রাস্তাটুকুও ছিল না। যার ফলে আগুন নেভাতে হাত লাগান স্থানীয় বাসিন্দারা৷ তবে যতক্ষণে আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে, ততক্ষণে পুড়ে ছাই হয়ে যায় বাড়ির সর্বস্ব। শনিবার গভীর রাতে আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটে বালুরঘাটের চকচন্দন এলাকায়। আগুন লাগার খবর পেয়ে রবিবার সকালে ঘটনাস্থলে যান বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কল্পনা কিস্কু। কথা বলেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে৷ আশ্বাস দেন সরকারি সহযোগিতার। তবে কীভাবে আগুন লাগল তা নিয়ে ধন্দে পরিবার।
জানা গিয়েছে, শনিবার গভীর রাতে ওই এলাকার বাসিন্দা প্রশান্ত ওঁরাওয়ের বাড়িতে। আগুন লাগার কিছু বাদেই দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে গোটা বাড়ি। ফুলকি থেকে পাশের আরও একটি বাড়িতে আগুন লাগে। আগুনে পুড়ে যায় চার থেকে পাঁচটি ছাগল, দুটি গরু এবং পাশাপাশি পুড়ে যায় দুটি সাইকেল, বাড়িতেই মজুত রাখা খাবার চাল, ধান সহ বাড়ির অন্যান্য সব আসবাবপত্র।
আগুন লাগার ঘটনা ঘটলেও রাস্তা খারাপের জন্য গ্রামে ঢুকতে পারেনি দমকলের কোন ইঞ্জিন। এর ফলে গ্রামবাসীরাই দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর আগুন নেভান৷ তবে যতক্ষণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে ততক্ষণে পুড়ে যায় সব কিছু। পরিবারের সদস্যরা জানান, শনিবার রাতে রান্নাও করেনি প্রশান্তের পরিবার৷ ফলে উনুন থেকে আগুন লাগার সম্ভাবনা নেই। তবে কী থেকে আগুন লাগল, তা নিয়ে ধন্দে পরিবার৷ এদিকে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ৷