বালুরঘাট: বালুরঘাট-হিলি রেল লাইন (Balurghat-Hili Rail Line) সম্প্রসারণের ফলে গৃহহীন হতে চলেছে প্রায় ২৫ টি পরিবার। জমির পাট্টা সংক্রান্ত কোনও কাগজ না থাকার কারণে মিলছে না সরকারি ক্ষতিপূরণ। যার ফলে রাতের ঘুম উড়ে যাচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলার বালুরঘাট ব্লকের অমৃতখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের ডুমইর চকামোদ এলাকার একটি কলোনির প্রায় ২৫ টি পরিবারের৷ এমতাবস্থায় সরকারি সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন অসহায় পরিবারের সদস্যরা। শুধুমাত্র বাড়ি নয়, ওই এলাকার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও রেলের জমিতে পড়েছে৷ রেল লাইন সম্প্রসারণ হলে স্কুলটিও উঠে যাবে। যদিও সবরকম ভাবে ওই পরিবারদের সহযোগিতা করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা।
বালুরঘাট ব্লকের অমৃতখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের ডুমইর চকামোদ কলোনিতে সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ টি পরিবারের বাস। দীর্ঘ প্রায় ৪০-৫০ বছর ধরে তারা ওই এলাকায় বসবাস করছেন। বেশিরভাগ পরিবারেরই আর্থিক অবস্থা বিশেষ ভাল নয়। পুনর্বাসন না পেলে অন্যত্র গিয়ে বাড়ি করার মতোও সামর্থ নেই তাঁদের। এদিকে এই এলাকা দিয়েই হবে রেল লাইন। বালুরঘাট হিলি রেল লাইন সম্প্রসারণের জন্য এই জায়গাই চিহ্নিত হয়েছে। এমনকি জমি চিহ্নিত এলাকায় রেলের তরফে ফলক পোঁতাও হয়েছে। এই কলোনির মধ্যে ২৫ টি বাড়ি এবং দৌল্লা প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রস্তাবিত রেললাইনের মধ্যে পড়েছে। এই স্কুল উঠে গেলে পড়ে এলাকার বাচ্চাদের পড়াশোনার ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
কিন্তু, ওই কলোনির বাসিন্দাদের কোনও জমির দলিল বা পাট্টা না থাকায়, তারা জমির মূল্য পাবেন না। এমনকি কোন ক্ষতিপূরণও পাবেন না। এটা বুঝতে পেরেই রীতিমতো আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন গ্রামের বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি শুধুমাত্র ২৫ টি পরিবারই নয় রেললাইনের সম্প্রসারণের কাজ শুরু হলে মাটি ফেলাকে কেন্দ্র করে আরো অনেক বাড়ি উঠে যেতে বাধ্য হবে। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই পুনর্বাসনের দাবিতে সরব হয়েছেন তাঁরা। এই বিষয় নিয়ে খুব শীঘ্রই জেলা প্রশাসনের কাছে দ্বারস্থও হতে চলেছেন।
একইভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও তাদের পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে জেলাশাসকের কাছে ওই এলাকার মানুষদের পুনর্বাসনের দাবি জানানো হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপি জেলা সম্পাদক বাপি সরকার। পাশাপাশি এবিষয়ে বামফ্রন্টের তরফে আরএসপি রাজ্য সম্পাদক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী বিশ্বনাথ চৌধুরী একই দাবি করেছেন। তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি সুভাষ চাকি জানান, এই বিষয়ে দলীয়ভাবে এবং প্রশাসনিক স্তরে আলোচনা করা হবে। অন্যদিকে এ বিষয়ে জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। জেলা প্রশাসন ওদের পাশে আছে।”