
হরিরামপুর: দিদিকে বাঁচাতে গিয়ে,ঘরে লুকিয়ে থাকা দুষ্কৃতীর হাতে প্রাণ গেল এক যুবকের। মৃতের নাম জিমেন টুডু। বয়স ২৩ বছর। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুর থানার কিসমত কসবা গ্রামে। খবর পেয়ে মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে যায় হরিরামপুর থানার পুলিশ। এনিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হতেই পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে হরিরামপুর থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার রাতে স্বর্ণলতা সোরেনের ঘরের খাটের নিচে হাতে পেট্রোল ও ছুরি নিয়ে লুকিয়ে ছিল হেমন্ত মুর্মু নামে এক দুষ্কৃতী। মালদা জেলার বুলবুল চণ্ডী এলাকার বাসিন্দা তিনি। এলাকাবাসীর দাবি, স্বর্ণলতা সোরেনের পূর্ব পরিচিত। রাতে খাওয়ার পর স্বর্ণলতা যখন তার ঘরে যায়, তখন দেখতে পায় তার খাটের নিচে কেউ একজন শুয়ে রয়েছে। দ্রুত ঘর থেকে বেরিয়ে এসে তাঁর ভাই জিমেন টুডুকে ঘটনার জানায়।
অভিযোগ, জিমেন তাঁর ঘরে ঢুকে হেমন্ত মুর্মুকে খাটের তলা থেকে বের করতেই ঝাঁপিয়ে পড়ে স্বর্ণলতার উপর। অভিযোগ, চাকু দিয়ে আঘাত করতে শুরু করে। এরপরই স্বর্ণলতাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে তাঁর ভাই। অভিযোগ, সে সময় জিমেনের গলায় ছুরি চালিয়ে দেয় হেমন্ত। শ্বাসনালী কেটে মৃত্যু হয় জিমেন টুডুর।
এ দিকে, ঘটনার পর থেকে পলাতক আততায়ী হেমন্ত মুর্মু। খবর পেয়ে হরিরামপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে। আততায়ীর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। স্বর্ণলতা বলেন, “আমি ঘরের লাইট জ্বালাতে যাই। তখন দেখি চোর খাটের নিচে শুয়ে আছে। আমি ভাইকে বলেছিলাম একটা চোর ঘরের নিচে শুয়ে আছে। ভাই ওকে টেনে বার করে। তখনই কথাকাটাকটি আর তারপরই এই ঘটনা।”