
বালুরঘাট: ঠিকাদারকে খুন করে বাঙ্কারে ঢুকিয়ে প্লাস্টার করে দেওয়ার অভিযোগ। তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে হাইস্কুলের শিক্ষকের স্ত্রী মৌমিতা হাসান। তিনিই এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত। নিহত ঠিকাদার সাদ্দাম নাদাব আদতে মৌমিতা হাসানের ভাসুরের ছেলে। মৌমিতা জেরায় জানিয়েছে, ভাসুরের ছেলের যৌন চাহিদা মেটাতে মেটাতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তাই খুন!
ঘটনার দিন সাদ্দামই মালদহ থেকে স্কুটি চালিয়ে কাকিমা মৌমিতার বাড়িতে এসেছিলেন। ১৮ তারিখ রাতে সাদ্দামকে খুনের পর তাঁরই স্কুটি চালিয়ে বালুরঘাটে গিয়েছিলেন মৌমিতা। বালুরঘাটে এক আত্মীয়ের কাছে সেই স্কুটি রেখেছিলেন। শুক্রবার দুপুরে সেই স্কুটি উদ্ধার করেছে ইংরেজ বাজার থানার পুলিশ। ওই আত্মীয়কেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত ওই আত্মীয়ের জড়িত থাকার বিষয়য়ে কিছুই পায়নি পুলিশ।
মৌমিতাকে দিয়ে স্কুটিটি নিশ্চিত করে পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে। তবে এদিন মৌমিতা ক্যামেরার সামনে কিছুই জানাতে চাননি। ওই ঘটনায় ওই যুবকের যুক্ত রয়েছে কিনা তা খুঁজে দেখছে পুলিশ।
গত সোমবার মালদহের পুখুরিয়া এলাকায় চাঞ্চল্যকর এক অভিযোগ ওঠে। এক ঠিকাদারের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর স্ত্রী। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ গ্রেফতার করে হাইস্কুলের শিক্ষকের স্ত্রীকে। নাম জড়ায় ওই শিক্ষকেরও। প্রথমে বিষয়টি টাকাপয়সার লেনদেনের বলে মনে করছিল পুলিশ। কারণ ওই দম্পতি ঠিকাদারের ব্যবসা সংক্রান্ত কাজের দেখভাল করতেন। তাতে মাসোয়ারা পেতেন। কিন্তু তদন্তে উঠে আসে, কেবল টাকাপয়সা নয়, এর নেপথ্যে রয়েছে সম্পর্কের জটিল টানাপোড়েন। জানা যায়, সাদ্দামের সঙ্গেই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন শিক্ষকের স্ত্রী। নিত্য তাঁদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হত। কিন্তু সাদ্দামের চাহিদা মেটাতে মেটাতে একটা সময়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন মৌমিতা। তাতেই খুনের পরিকল্পনা।