
বালুরঘাট: বালুরঘাট বিএলআরও অফিসের চালান দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হলেন অফিসের দুই সরকারি কর্মী। ধৃতদের মধ্যে একজন সরকারি আমিন ও অন্যজন আপার ডিভিশন ক্লার্ক। দুজনের বাড়ি বালুরঘাটের। সরকারি আমিনের নাম বিষ্ণুবর্ধন মাহাতো ও আপার ডিভিশন ক্লার্কের নাম পার্থ দাস। বুধবার দুজনকে শহর থেকে গ্রেফতার করেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাদের সাত দিনের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে বালুরঘাট জেলা আদালতে তুলেছে পুলিশ। বিএলআরও অফিসের চালান সংক্রান্ত দুর্নীতির সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কিনা, তা খতিয়ে দেখচ্ছে বালুরঘাট থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত জুলাই মাসে চালান দুর্নীতির তদন্তে বালুরঘাট ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে এসেছিল নবান্নের অর্থ দফতরের একটি স্পেশাল অডিট টিম। তারা এক সপ্তাহ ধরে তদন্ত চালিয়েছিল। অন্যদিকে, গত ১৮ জুলাই বালুরঘাট ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক রণেন্দ্রনাথ মণ্ডল এই অনলাইন চালান দুর্নীতির পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবিতে বালুরঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। অভিযোগের সময় তিনি পুলিশকে প্রয়োজনীয় একাধিক নথিও জমা দিয়েছিলেন। সেই তদন্তে উঠে আসে অন্তত ৩৫টি অনলাইন চালানে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। যার আর্থিক অঙ্ক ৪-৫ লক্ষ টাকা বলে সরকারি অফিস সূত্রে খবর।
মূলত জমির মিউটেশন, কনভার্সন, ইটভাটা থেকে মাটি কেনা, অবৈধ পুকুর খনন বা মাটি পরিবহণ সংক্রান্ত জরিমানা বাবদ যে অর্থ সরকারি রাজস্ব আকারে জমা পড়ার কথা, সেই টাকার অঙ্ক কম দেখানো হয়। অথচ ম্যানুয়াল নথিপত্রে লেনদেনের পরিমাণ বেশি দেখানো হয়েছে। ফলে মূল অর্থ সরকারের ঘরে না গিয়ে মাঝপথেই গায়েব হয়ে গিয়েছে বলেই অভিযোগ ওঠে। যা নিয়েই তদন্ত চলছে৷ এই অভিযোগের তদন্তে নেমে পুলিশ এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে।