Balurghat: অন্ধকার নামলেই গোটা শহরজুড়ে জাঁকিয়ে বসছে ভয়! বাচ্চা-বৃদ্ধ-মহিলা রেহাই পাচ্ছে না কেউই
Balurghat: স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করাই রীতিমতো দুস্কর হয়ে উঠছিল। কেউ কেউ তো মৌমাছির আক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে গিয়ে পড়ে গিয়েও চোট পান। কেউ আবার বাইক ফেলে এলাকা থেকে চম্পট দেন।

বালুরঘাট: দেখা মাত্রই আক্রমণ। ভোঁ ভোঁ শব্দে তো কান পাতাই দায়। লাগাতার হানায় ইতিমধ্যেই হাসপাতাল পর্যন্ত ছুটতে হয়েছে এলাকার ১৭ থেেক ১৮ জন বাসিন্দাকে। বেশ কয়েকজনের অবস্থা রীতিমতো গুরতর। ভয়ে তো রাস্তায় হাঁটাচলা পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। বিগত কয়েকদিন ধরে এমনই ছবি দেখা গিয়েছে বালুরঘাট শহরের সত্যজিৎ মঞ্চ সংলগ্ন এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এলাকার মধ্যেই থাকা মৌমাঝির চাক থেকেই যত কাণ্ড। গত সোমবার ১৩ জন মৌমাছির আক্রমণের শিকার হন। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন মহিলাও রয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করাই রীতিমতো দুস্কর হয়ে উঠছিল। কেউ কেউ তো মৌমাছির আক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে গিয়ে পড়ে গিয়েও চোট পান। কেউ আবার বাইক ফেলে এলাকা থেকে চম্পট দেন। কয়েকদিন আগে ওই রাস্তা দিয়ে টোটোয় ভর্তি যাত্রীদের নিয়ে যাচ্ছিলেন এক টোটো চালক। সেই টোটোর উপরেও আক্রমণ করে মৌমাছির গল। কয়েক মাস আগে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চত্বরেও মৌমাছির আক্রমণে জখম হয়েছিলেন তিনজন রোগীর আত্মীয়। স্বভাবতই বারবার মৌমাছির হানায় আতঙ্কে শহরবাসী।
মঙ্গলবার এলাকার আরও ৪ থেকে ৫ জন মানুষকে হুল ফোটায় মৌমাছির দল। তারপর থেকেই যে রাস্তার উপরে ওই চাক রয়েছে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাতে অ্যাকশনে নামে পুরসভা। পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক কুমার মিত্রের উপস্থিতিতে কাটা হয় ওই মৌচাক। এলাকার আলো নিভিয়েই চলে ‘অপারেশন’। তারপর থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে এলাকার বাসিন্দারা।





