
বালুরঘাট: সিম জালিয়াতি-কাণ্ডে দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলার বালুরঘাট ব্লকের নানা জায়গায় হানা সিল সিবিআই। পতিরাম থানার বোল্লা গ্রাম পঞ্চায়েতের বদলপুর গ্রামে এক বাড়িতে শনিবার হানা দিল সিবিআই। এদিকে সিবিআই আসার আগেই বাড়িতে তালা মেরে পালিয়ে যায় বাড়ির সদস্যরা। পালানোর সময় অভিযুক্ত এক যুবক ল্যাপটপ সঙ্গে নিয়ে পালিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, ওই গ্রামের দুই ভাই বিট্টু দাস ও মিন্টু দাস। তাঁরা সিম জালিয়াতি কান্ডে যুক্ত বলেই সিবিআই সূত্রে খবর। গোটা দেশে সিম জালিয়াতির মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেনের সঙ্গে তাঁরা যুক্ত। এদিকে গত ফেব্রুয়ারি মাসে পতিরাম থানা ও দক্ষিণ দিনাজপুর সাইবার থানা একই অভিযোগে বড় ভাই বিট্টু দাসকে গ্রেফতার করেছিল। বিয়ে করে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পথেই পুলিশ বিট্টু দাসকে গ্রেফতার করেছিল।
গত এপ্রিল মাসে এই বিট্টু দাস জামিনে মুক্ত হয়। এদিন ফের ওই বাড়িতেই সিবিআই হানা দিয়েছে। এদিন ওই বাড়িতে ঢুকতে গিয়ে দেখেন বাড়িতে তালা মারা। এরপর বাড়ির তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে সিবিআই। প্রায় ৪ ঘণ্টা ওই বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। পরে শুধুমাত্র একটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে গিয়েছে। এদিকে ওই গ্রামে আরও কয়েকজনের বাড়িতে দুই ভাইয়ের খোঁজে হানা দেয় সিবিআই। কিন্তু দুপুর গড়িয়ে গেলেও দু’জনকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এদিকে ওই গ্রামেই আরও এক বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। সেই বাড়িতে আবার বিয়ে চলছিল বলেই স্থানীয় সূত্রে খবর। যা নিয়ে গ্রামে হইচই পড়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পতিরাম থানার ওসি সৎকার সাংবো।
অন্যদিকে, একইদিনে পতিরাম থানার বটুন ও বালুরঘাট থানার খানপুরেও সিবিআই কয়েকজনের বাড়িতে হানা দিয়েছে। এনিয়ে সিবিআইয়ের কোনও আধিকারিকই মুখ খুলতে চায়নি।
এ বিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পুলিস সুপার চিন্ময় মিত্তাল বলেন, “সিম জালিয়াতি কাণ্ডে সিবিআই অভিযান চালাচ্ছে। ওই ঘটনায় আগেই এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।”