কুমারগঞ্জ : আবাস যোজনা (Awas Yojona) ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ। বিক্ষোভের মুখে পঞ্চায়েত কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের বটুন গ্রাম পঞ্চায়েতে। ধৃত পঞ্চায়েত কর্মীর নাম সাহাদত আলি মন্ডল। বাড়ি কুমারগঞ্জের রাইখনে বাড়ি। তিনি বটুন গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রুপ ডি পদে কর্মরত রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে তিনি যে টাকা নিয়েছেন তা স্বীকার করেছেন। বিক্ষোভের মুখে পড়ে করেছেন দোষ কবুল। দিয়েছেন মুচলেকা। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পতিরাম থানার পুলিশ।
সূত্রের খবর, কুমারগঞ্জ ব্লকের বটুন গ্রাম পঞ্চায়েতটি বিজেপির দখলে রয়েছে। অন্যান্য গ্রাম পঞ্চায়েতের মতো বটুন গ্রাম পঞ্চায়েতেও আবাস যোজনার ঘর তালিকায় নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। এই গ্রাম পঞ্চায়েতের এক সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধেই লিস্টে থাকা নামের তালিকা পরিবর্তন করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে পঞ্চায়েতের কর্মচারী সাহাদত আলী মন্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পতিরাম থানার পুলিশ। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় কুমারগঞ্জের বটুনে।
এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, সরকারি আবাস যোজনায় এর আগে যে সমস্ত পরিবার ঘর পেয়েছে তাঁদের নাম আবার নতুন করে আবাস যোজনা লিস্টে রয়েছে। এমনকী পঞ্চায়েতের কর্মচারী সাহাদত আলী মন্ডলের বিরুদ্ধে বাড়ি প্রাপকদের থেকে টাকা তুলে বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগও তুলেছেন তাঁরা। এই অভিযোগেই এদিন পঞ্চায়েতের সামনে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, তারা একশো দিনের কাজের টাকা, সরকারী আবাস যোজনা থেকে বঞ্চিত। ব্লক অফিসের লোকেরা বাড়ি গিয়ে সার্ভে করে আসলেও তালিকায় তাদের নাম নেই। বিক্ষোভের খবর শুনে পতিরাম থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পুলিশের গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে।
ঘটনা প্রসঙ্গে এলাকার বাসিন্দা সঞ্জীব বর্মন বলেন, “পঞ্চায়েতের প্রধান প্রশান্ত চৌধুরী নিজের দলের লোকদের প্রভাব খাটিয়ে ঘর পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এদিকে ওনারা আগেও ঘর পেয়েছেন। কিন্তু, নতুন তালিকায় ফের তাঁদের নাম রয়েছে। পঞ্চায়েতের এক কর্মীও ঘর দেওয়ার নাম করে টাকা তুলছিলেন। মুচলেকা দিয়ে তিনি তাঁর দোষ কবুল করেছেন। প্রধানের সঙ্গে তিনিও যুক্ত রয়েছেন। পঞ্চায়েতের অন্যান্য কর্মীরাও যুক্ত রয়েছেন। প্রায় ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা তোলা হয়েছে।”