দক্ষিণ দিনাজপুর: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় একাধিক অভিযোগ বিরোধীদের। যোগ্যরা বাড়ি পাননি, স্বজনপোষণ করে শাসকদল নিজেদের লোকজনকে বাড়ি দিয়েছেন বলে দাবি বহু গ্রামবাসীরও। এর আগে কেন্দ্রীয় দল রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় গিয়েছিল। আবারও চলছে তদন্ত। দক্ষিণ দিনাজপুরের একাধিক গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় কেন্দ্রীয় দল যায় বৃহস্পতিবার। সরকারি আবাস যোজনার ঘর পাওয়া নিয়ে কোনও বেনিয়ম হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখে।
বুধবার বিকালে বালুরঘাট ব্লকের অমৃতখণ্ড গ্রামপঞ্চায়েতের বেশ কিছু এলাকা পরিদর্শন করে কেন্দ্রীয় দল। বৃহস্পতিবার বংশীহারি ব্লকের মহাবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় যায় তারা। বৃষ্টির মধ্যে ছাতা মাথায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে বেড়ান কেন্দ্রীয় দলের লোকজন। দেখেন, কারা এই প্রকল্পে ঘর পেয়েছেন। তাঁরা আদৌ তা পাওয়ার যোগ্য কি না। যোগ্য হওয়ার পরও কারা পাননি, কেন পাননি। দু’জনের প্রতিনিধি দল শুক্রবারও জেলার বিভিন্ন এলাকা খতিয়ে দেখবেন বলেই জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর।
এ বিষয়ে অমৃতখণ্ড গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান দেবদূত বর্মন জানান, কোথাও কোন অভিযোগ পাননি। এসব উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিজেপি করাচ্ছে। তাঁর দাবি আবাস যোজনার টাকা দেবে না বলে এসব। বংশীহারীর বিডিও সুব্রত বাউলও বলেন, “কেন্দ্রীয় দল এসেছিল। একাধিক পঞ্চায়েত এলাকা ঘুরে দেখেন। সঠিক উপভোক্তা বাড়ি পেয়েছেন কি না তা যেমন দেখছেন। যাদের নাম তালিকায় আছে তারা পাওয়ার যোগ্য কি না তাও খতিয়ে দেখছেন। আবার কেউ যোগ্য অথচ নাম বাদ পড়ল কি না সরেজমিনে খতিয়ে দেখছেন। এখনও অসঙ্গতি কিছু পাননি। ওনারা রিপোর্ট দেখে সন্তুষ্ট।”
তবে ‘এনকোয়ারি’ হওয়ার পরও ঘর পাননি বলে দাবি করেন বংশীহারির সীমা গায়েন। তিনি বলেন, “ওনারা জানতে চাইলেন ঘর পেয়েছি কি না। বললাম যে ঘর পাইনি। ছবি তুললেন, তথ্য নিলেন। বললেন ঘর পাব। কেন যে এতদিন পেলাম না, সেটাই তো জানি না। সবই খতিয়ে দেখে, ছবিও তুলে নিয়ে গিয়েছিল। আশায় ছিলাম। তারপরও পাইনি। খুব কষ্ট করে থাকি। ঘরে জল পড়ে। বাচ্চাদের নিয়ে কষ্ট। পড়াশোনা করতে পারে না ওরা। এবার যদি পাই সেই অপেক্ষাতেই আছি।”