কুশমণ্ডি: ক্ষোভের আগুন জ্বলছে স্কুলে। এক ছাত্রের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডির কচড়া হাই স্কুলে। স্কুল চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়ার পর ছাত্রকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি বলে অভিযোগ স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় ক্লাস সিক্সের ওই ছাত্রের। এরপরই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ওই স্কুলে। স্কুলে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয় স্কুল চত্বরে। অভিযোগ, বেধড়ক মারধর করা হয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য শিক্ষকদের। ভেঙে দেওয়া হয় স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মোটর সাইকেল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। উপস্থিত হয়েছেন গঙ্গারামপুর মহকুমার পুলিশ আধিকারিক ও কমব্যাট ফোর্স।
মৃত নাবালকের নাম অভিজিৎ সরকার। বুধবার স্কুল চলকালীন টিফিনের সময় সে অসুস্থ হয়ে পড়ে বলে জানিয়েছে তার সহপাঠীরা। স্কুলের ছাত্রদের অভিযোগ, দীর্ঘক্ষণ অসুস্থ হয়ে পড়লেও শিক্ষকরা কেউ দেখেননি। এমনকী প্রধান শিক্ষকের ঘরের সামনে দিয়ে তাকে নিয়ে যাওয়া হলেও তিনি গুরুত্ব দেননি বলে অভিযোগ। অনেক পরে খবর দেওয়া হয় ছাত্রের পরিবারকে। তারা আসার পর পাশের ইটাহার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় পথে মৃত্যু হয় অভিজিতের। স্কুলের এক ছাত্র বলেন, “চিকিৎসার ব্যবস্থা করেননি কোনও শিক্ষক। মারা গেল ছেলেটা। আমরা প্রধান শিক্ষক সহ সব শিক্ষকের শাস্তি চাই। স্কুলটাকে নরক বানিয়ে রেখে দিয়েছে।”
মৃতের পরিবার ও উত্তেজিত গ্রামবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়ে। ইটাহার-কালিয়াগঞ্জ রাজ্য সড়ক অবরোধ করে তারা। অভিযোগ, শিক্ষকদের স্কুলের ভিতরেই আটকে রেখে চলে বিক্ষোভ। স্কুলে ঢুকে কার্যত তাণ্ডব চালান গ্রামবাসীরা। আগুন লাগানো হয় স্কুলের লাইব্রেরিতে। প্রধান শিক্ষককে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনও উত্তর দিতে চাননি।