Tapan: পানীয় জলের জন্যও পথে নামতে হচ্ছে?, হাঁড়ি-কলসি নিয়ে অবরোধে শতাধিক গ্রামবাসী
Tapan: জলের দাবিতে বৃহস্পতিবার কলসি, হাড়ি রেখে রাজ্যসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান প্রায় শতাধিক বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই পথ অবরোধ চলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের তিলন এলাকায়। প্রায় কয়েক ঘণ্টা এমন রাজ্য সড়ক অবরোধের জেরে চরম দুর্ভোগে পড়েন পথচলতি সাধারণ মানুষ।

তপন: ভরা বর্ষায় জলের পাত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে এদিক ওদিক। পানীয় জলের জন্য কার্যত হাহাকার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের তিলন এলাকায়। প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাস্তায় হাঁড়ি, বালতি, গামলা রেখে বিক্ষোভে সামিল হলেন এলাকার লোকজন। তাঁদের দাবি, পঞ্চায়েতের লোকন ভোটের আগে এসে বলেছিলেন, ভোট মিটলে সমস্যা মিটবে। কিন্তু কোথায় কী! সেসব বিশ বাঁও জলে। রাজ্য-কেন্দ্র উভয় সরকারই বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে সেই কবে থেকে। অথচ এখনও বহু গ্রামে পানীয় জলের জন্য এমনভাবে পথে নামতে হচ্ছে।
তিলনের বাসিন্দা জ্যোৎস্না টুডু বলেন, “চার মাস ধরে এখান ওখান থেকে জল ভরে আনতে হয়। পঞ্চায়েতে দরখাস্ত দিয়েছিলাম। কোনও ব্যবস্থা করেনি। এবার কিছু একটা ব্যবস্থা করে দিতেই হবে। বর্ষাকালে খাওয়ার জলটুকু পাই না। আমাদের কী সেই সামর্থ জল কিনে খাব? একটাই টিউবয়েল এই আদিবাসী গ্রামে। জলস্তর নেমে যাওয়ায় জল উঠছে না। আমরা জল চাই।”
জলের দাবিতে বৃহস্পতিবার কলসি, হাঁড়ি রেখে রাজ্যসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান প্রায় শতাধিক বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই পথ অবরোধ চলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের তিলন এলাকায়। প্রায় কয়েক ঘণ্টা এমন রাজ্য সড়ক অবরোধের জেরে চরম দুর্ভোগে পড়েন পথচলতি সাধারণ মানুষ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে তপন থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ সব রকমে পথ অবরোধ তোলার চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন তপনের জয়েন্ট বিডিও পরিমল কুমার দাস।
বিক্ষোভকারী সুশান্ত ঘোষ বলেন, “প্রায় ৭০-৭২টা বাড়ি এখানে। যার বাড়িতে সাবমার্সিবল পাম্প আছে, জল আনতে গেলে বলছে বিদ্যুতের বিল উঠছে কতদিন দেবো? আমরা জল পাব কোথায়? ভোটের আগে বলেছিল ভোট মিটলে সব করে দেবে। কোথায় কী। পাড়ায় টিউবয়েলটাও খারাপ। কখনও মাঠে গিয়ে মেয়ে-বউদের পাম্প থেকে জল আনতে হয়, কখনও হাইস্কুলে যায় লাইন দিয়ে জল ভরতে। এটার তো বিহিত দরকার। পঞ্চায়েতকে জানিয়ে কাজ হয়নি।”
এ বিষয়ে তপনের জয়েন্ট বিডিও পরিমলকুমার দাস বলেন, “এখানে জলের সমস্যা আছে। জলস্তর একেবারে নীচে নেমে গিয়েছে। আমরা অস্থায়ীভাবে ব্লক থেকে একটা ট্যাঙ্ক পাঠাব। এরপর আমরা অফিসে কথা বলে কোন ফান্ড থেকে কী করা যায়। গ্রামের লোকজন একটা সাবমার্সিবল পাম্প চান। আর এক বছরের মধ্যে আমাদের পাইপলাইনও হয়ে যাবে।”