AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Extra Marital Affair: স্বামীর পরকিয়া জানতে পারে স্ত্রী, রাতেই চোখের সামনে দেখল আরেক দৃশ্য

Balurghat: টোটোন দিল্লিতে কাজ করতেন। স্ত্রী, সন্তানও তাঁর সঙ্গেই থাকতেন। অভিযোগ, এরইমধ্যে এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান টোটোন। তাঁর স্ত্রী সেই সম্পর্কের কথা জেনে যাওয়ার পরই বালুরঘাটে ফিরে আসেন তাঁরা।

Extra Marital Affair: স্বামীর পরকিয়া জানতে পারে স্ত্রী, রাতেই চোখের সামনে দেখল আরেক দৃশ্য
ময়না তদন্তের জন্য দেহ আনা হয় হাসপাতালে। Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Aug 24, 2023 | 9:30 PM
Share

বালুরঘাট: স্বামীর পরকিয়ার কথা জেনে ফেলেছিলেন স্ত্রী। অভিযোগ, এরপরই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন টোটোন প্রামাণিক নামে ২৪ বছরের ওই যুবক। বালুরঘাট ব্লকের জলঘর এলাকা। বুধবার রাতে সেখানেই একটি লোহার ব্রিজে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় টোটোনের। পরিযায়ী শ্রমিক ছিলেন তিনি। এদিকে লোহার ব্রিজ যথেষ্ট উঁচু হওয়ায় দেহটি নামাতে বেগ পেতে হয় এলাকার লোকজনকে। এরপরই থানায় খবর দেওয়া হয়। খবর দেওয়া হয় বালুরঘাট দমকল কেন্দ্রে। তারাই এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ময়না তদন্ত করা হবে দেহের। বালুরঘাট থানার পুলিশ ঘটনা খতিয়ে দেখছে।

টোটোন দিল্লিতে কাজ করতেন। স্ত্রী, সন্তানও তাঁর সঙ্গেই থাকতেন। অভিযোগ, এরইমধ্যে এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান টোটোন। তাঁর স্ত্রী সেই সম্পর্কের কথা জেনে যাওয়ার পরই বালুরঘাটে ফিরে আসেন তাঁরা। অভিযোগ, এখানে ফেরার পর কিছুদিন সংসারেই মন ছিল স্বামীর। পরে আবারও ওই মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ হয় বলে অভিযোগ। যা নিয়ে সংসারে অশান্তি শুরু হয়।

অভিযোগ, এরইমধ্যে বুধবার স্বামীকে অন্য মহিলার সঙ্গে কথা বলতে শুনে ফেলেন স্ত্রী। এরপরই ঝামেলা চরমে ওঠে। এলাকার লোকজন, আত্মীয়স্বজন এসেও মিটমাটের চেষ্টা করেন। এরপর রাতে টোটোন একটি গাছে গলায় ফাঁস দিতে গিয়েছিলেন। তবে সে সময় এলাকার লোকজন দেখে ফেলায় তাঁকে আটকান। এরপর রাতে টোটোনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।

নিহতের আত্মীয় প্রতাপ প্রামাণিক জানান, টোটোনের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা তাঁর স্ত্রী জেনে ফেলেছিলেন। বাড়িতে ফিরলেও যোগাযোগ বন্ধ হয়নি। বুধবার রাতে এই ঘটনা ঘটান। বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা বলেন, রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ নামানো হয়। লোহার ব্রিজের একদম উপরে দেহ থাকায় তা নামানো সম্ভব হচ্ছিল না। এরপরই দমকলে জানানো হয়।

নিহতের পিসির ছেলে মিঠুন সরকার বলেন, “রাতে গামছা নিয়ে ফাঁস লাগাতে গিয়েছিল প্রথমে। সকলের চিৎকার শুনে যাই। গিয়ে নামিয়ে আনি। বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বোঝাইও। অনেকেই ছিল। এর আগেও অনেকবার এসব করেছে। এরপর রাতে বেরিয়ে গিয়ে আবার এই কাণ্ড।”