ISRO: মাধ্যমিক পাশের আগেই উড়ল স্বপ্নের উড়ান, দেশের বুকে বাংলার নাম উজ্জ্বল করল বালুরঘাটের অর্পিতা

Rupak Sarkar | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

May 09, 2024 | 12:01 PM

ISRO: আগামীতেও মহাকাশ গবেষণা নিয়েও পড়ার সুযোগ থাকবে বলে জানা গিয়েছে। গতবছর একই প্রশিক্ষণের জন্য ডাক পেয়েছিল পতিরামের উপাসনা মণ্ডল। এবার একই স্কুলের একই এলাকার অর্পিতা সেই ইসরোতে ডাক পেয়েছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই খুশির হাওয়া শিক্ষা মহলে। 

ISRO: মাধ্যমিক পাশের আগেই উড়ল স্বপ্নের উড়ান, দেশের বুকে বাংলার নাম উজ্জ্বল করল বালুরঘাটের অর্পিতা
অর্পিতা সাহা
Image Credit source: Tv9 Bangla

Follow Us

পতিরাম: সদ্য বেরিয়েছে মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট। বিভিন্ন কৃতী পড়ুয়াদের খবর ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে। এইসবের ভিতরেই বালুরঘাট থেকে এল আরও একটি সুসংবাদ। ইসরোতে মহাকাশযান নিয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ ও গবেষণার সুযোগ পেলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পতিরামের নবম শ্রেণির ছাত্রী অর্পিতা সাহা। ইসরোর সর্বভারতীয় স্তরের একটি পরীক্ষার মাধ্যমে ওই সুযোগ পেয়েছে অর্পিতা। তাই ইসরো থেকে ১৪ দিনের জন্য একটি ইয়ং সায়েন্টিস্ট প্রোগ্রামে ডাক পেয়েছে সে। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাবন স্পেস সেন্টারে ২৫ দিন ধরে পঠন-পাঠন ও নানা গবেষণামূলক প্রশিক্ষণের সুযোগ থাকবে।

আগামীতেও মহাকাশ গবেষণা নিয়েও পড়ার সুযোগ থাকবে বলে জানা গিয়েছে। গতবছর একই প্রশিক্ষণের জন্য ডাক পেয়েছিল পতিরামের উপাসনা মণ্ডল। এবার একই স্কুলের একই এলাকার অর্পিতা সেই ইসরোতে ডাক পেয়েছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই খুশির হাওয়া শিক্ষা মহলে।

জানা গিয়েছে, অর্পিতা সাহা পতিরাম বিবেকানন্দ গার্লস হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। অর্পিতার বাবা দীপঙ্কর সাহা। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী। মা বর্না সাহা গৃহবধূ। সাধারণ দরিদ্র পরিবারের মেয়ে অর্পিতা। এবছর ১ মার্চ মাসে অনলাইনে ইসরোর ‘যুবিকা’ নামক একটি পরীক্ষায় বসে অর্পিতা। সম্প্রতি এই পরীক্ষার রেজাল্ট বের হয়। যার ফলে ইসরো থেকে অর্পিতাকে ডেকে পাঠানো হয়। আজই অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছেন অর্পিতা ও তার বাবা।

অর্পিতার ছোটবেলা থেকেই মহাকাশ বিষয় নিয়ে আগ্রহ। সম্প্রতি চন্দ্রযান ৩ উৎক্ষেপণের যাবতীয় বিষয় খুঁটিনাটি পর্যবেক্ষণ করেছে। এবার সেই ইসরোতেই প্রশিক্ষণের সুযোগ পেয়ে খুশি অর্পিতা ও তার পরিবার।

প্রসঙ্গত, অন্ধপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাবন স্পেশ সেন্টারে ওই বিশেষ প্রশিক্ষণ শুরু হবে। কীভাবে রকেট উৎক্ষেপন হয়,কীভাবে মহাকাশযান তৈরি করা হয়,কীভাবে মহাকাশ গবেষণা চলে তা নিয়ে প্রশিক্ষণ চলবে। এছাড়াও সমস্ত পড়ুয়াদের সায়েন্টিস্ট হিসাবে নানা গবেষণামূলক পাঠ দেওয়া হবে ৷

কীভাবে চন্দ্রযান ৩ চাঁদের বুকে পাড়ি দিয়েছিল। সেই বিষয়গুলিও ওয়াকিবহাল করা হবে। এমনকী মহাকাশ গবেষণার কোন কোন ভাল দিক রয়েছে,তা জানানো হবে। এমনকী পরবর্তীতে মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়েও পড়াশোনার সুযোগ থাকবে ৷ এতদিন থাকা খাওয়া যাতায়াত সহ সমস্ত কিছুরই ব্যয়ভার গ্রহণ করবে ইসরো।জানা গিয়েছে, ইসরোর ‘যুবিকা’ পরীক্ষায় মার্কসের ভিত্তিতে গোটা দেশের মধ্যে মোট ৩৫০ জনকে ডাকা রয়েছে। তার মধ্যে পতিরামের অর্পিতা এই সুযোগ পেয়েছে ৷ অর্পিতা জানাল, “ভাল লাগছে চান্স পেয়ে। চাইছি মহাকাশ গবেষণা নিয়ে আরও এগোতে। এছাড়াও ডাক্তারি পড়ার ইচ্ছাও রয়েছে।”

 

 

Next Article