বংশীহারি: শ্বশুরবাড়িতে চাই স্ত্রীর মর্যাদা। এই দাবিতে শ্বশুরবাড়ির এলাকায় রাস্তার উপরে ধর্নায় বসে যান গৃহবধূ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) বুনিয়াদপুরে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত শ্বশুরবাড়িতে সস্মানে ঢোকার দাবি ঠাঁয় ধর্নায় বসে থাকেন ওই মহিলা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। বুনিয়াদপুর পুরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের হাটপুকুর এলাকায় ওই গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ি। ধর্নায় বসার কথা চাউর হতেই আশপাশের এলাকার মানুষের মধ্যে কৌতুহল তৈরি হয়। যদিও মহিলার শ্বশুরবাড়ির লোকেদের এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তাঁরা কেউই এই ঘটনায় সংবাদমাধ্যমের সামনে আসতে চাননি।
তপন থানা এলাকার রামপুরের বাসিন্দা মৌসুমী অধিকারী মহন্ত। স্বামী অরিন্দম মহন্ত। প্রায় বছর চারেকের সম্পর্ক তাঁদের। প্রায় আড়াই বছর আগে রেজিস্ট্রি করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা। মাস নয়েক আগে সামাজিক রীতি-রেওয়াজ মেনেও বিয়ে করেন। মৌসুমীর স্বামী বাড়িতে থাকেন না। তিনি একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। সেই সংস্থার অফিস মালদায়। এদিকে বিয়ের পর থেকে স্ত্রীর সঙ্গে রামপুরের শ্বশুড়বাড়িতেই থাকতেন অরিন্দম। নিজের বাড়িতে যাতায়াত থাকলেও খুব কম সময়ই নিজের বাড়িতে থাকত অরিন্দম। অরিন্দমের বাড়ি থেকে এই বিয়েতে মত ছিল না। সেই কারণেই বেশিরভাগ সময় শ্বশুরবাড়িতে কাটাতেন তিনি। এদিকে ওই গৃহবধূও বার বার তাঁকে বলত, বাড়িতে গিয়ে পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলতে। কিন্তু তাতেও রাজি ছিল না সে।
জানা গিয়েছে, গতরাতেও স্বামীর সঙ্গে এই নিয়ে অশান্তি হয়েছিল মৌসুমীর। অশান্তির পর রাতেই স্বামীর সঙ্গে রামপুর থেকে বুনিয়াদপুরে চলে আসে ওই গৃহবধূ। আর এরপরই হয় সমস্যা। অভিযোগ, রাত প্রায় বারোটা নাগাদ ওই গৃহবধূকে নিজের বাড়ির সামনে রেখে সেখান থেকে চলে যায় স্বামী। তারপর আর ফিরে আসেনি। গৃহবধূর সন্দেহ, চালাকি করে তাঁকে এইভাবে ছেড়ে চলে গিয়েছে স্বামী। এদিকে ওই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকেই শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্ণায় বসে পড়েন মৌসুমী। শুক্রবার সকাল পর্যন্তও ঠাঁয় বসে থাকেন। পরে বংশীহারি থানার আইসি মনোজিৎ সরকার ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে রাস্তার উপর থেকে সরিয়ে দেন। ধর্না তুলে নিলেও শেষ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখনও শ্বশুরবাড়ির চত্বরেই ঘুরে বেরাচ্ছেন ওই মহিলা।