গঙ্গারামপুর: নির্যাতিতার মর্মান্তিক পরিণতি গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে (Gangarampur Hospital)। ‘গণধর্ষণে’র শিকার বছর ছত্রিশের এক মহিলার মৃত্যু হল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। গঙ্গারামপুর থানা এলাকার বাসিন্দা ওই মহিলার মৃত্যুর পর পুলিশ তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত সোমবার রাতে একটি বিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলেন ওই মহিলা। অভিযোগ সেই রাতেই গণধর্ষণের শিকার হন তিনি। রাতেই তাঁকে অসুস্থ উদ্ধার করেছিলেন পরিবারের লোকেরা। সেদিন অনেক রাত হয়ে যাওয়ায় পরিবারের লোকেরা পরের দিন নির্যাতিতাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। ১৫ মার্চ পরিবারের তরফে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলে, তাঁর বয়ানও রেকর্ড করে হাসপাতালে গিয়ে। শেষে শুক্রবার সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু হয় ওই নির্যাতিতার।
পরিবারের অভিযোগ, সোমবার রাতে পার্শ্ববর্তী এক গ্রামের ৫-৬ জন যুবক সুযোগ বুঝে ওই মহিলাকে একা পেয়ে তাঁকে টানতে টানতে তুলে নিয়ে যায় জঙ্গলে। তারপর সেখানে মহিলার উপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। তাঁকে মারধর করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ। এরপর রাত অনেক গভীর হলেও মহিলা বাড়িতে না ফিরলে খোঁজখবর শুরু হয়। সেই রাতেই পার্শ্ববর্তী এক গ্রাম থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নির্যাতিতা মহিলার পরিবারের লোকেরা। পুলিশ সুপার রাহুল দে জানিয়েছেন, গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে ওই মহিলার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
উল্লেখ্য, এর আগেও রাজ্যে বিভিন্ন সময়ে মহিলাদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। মাটিয়া, হাঁসখালির মতো ঘটনা গোটা রাজ্যে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। নিন্দায় সরব হয়েছিল বিভিন্ন মহল। কিন্তু তারপরও রাজ্যে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের মতো ঘটনা বন্ধ হচ্ছে না। গঙ্গারামপুর থানা এলাকায় ফের নারকীয় নির্যাতনের শিকার এক মহিলা।