
বংশীহারি: হোটেলে হোটোলে মধুচক্রের আসর। এলাকায় চাপানউতোর ছিলই। শেষ পর্যন্ত গোপন সূত্রে পুলিশের কানে গেল খবর। শুক্রবার দুপুরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর পুরসভার একাধিক হোটেলে অভিযান চালালো বংশীহারি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। সেই অভিযানেই ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাঁদের মধ্যে ২ জন পুরুষ ও ৭ জন মহিলা রয়েছে। রয়েছে একটি হোটলের মালকিন, ম্যানেজার ও এক কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হোটেলের মালকিনই দেহব্যবসার নেপথ্যে মূল মাথা ছিলেন বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে করছে পুলিশ।
ধৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে যথাযথ ধারায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি শুরু বংশীহারি থানার পুলিশ। এদিন মোট তিনটি হোটেলে অভিযান চালায় বংশীহারি থানার পুলিশ। একটি হোটেল থেকে প্রচুর অব্যবহৃত কন্ডোমও উদ্ধার হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পরিস্থিতি দেখে তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান দীর্ঘদিন থেকেই এখানে জাঁকিয়ে বসেছিল মধুচক্রের আসর। এদিকে গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের অফিসের নাকের ডগাতেই রয়েছে এই সব হোটেল। কিন্তু তাও কী করে পুলিশের নজর এড়িয়ে দীর্ঘদিন থেকে চলল এই বেআইনি কাজ? সেই প্রশ্নও উঠছে।
সূত্রের খবর, বুনিয়াদপুরের এই হোটেলগুলিতে দীর্ঘদিন থেকেই নজর রাখছিল পুলিশ। অবশেষে গোপন সূত্রে পাকা খবর পেতেই এদিন দুপুরে আচমকা হানা দেয় পুলিশ। বিশাল পুলিশ বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য নিজেই। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, দীর্ঘদিন থেকেই এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছিল। পুলিশের এই অভিযান আরও অনেক আগেই করা দরকার ছিল বলে মত তাঁদের।