Malda Murder: বাঙ্কারে ঢুকিয়ে করা হয় প্লাস্টার! একজন ঠিকাদারের ওপর কীসের এত আক্রোশ? হাড়হিম হত্যার মালদহে হাইস্কুলের শিক্ষকের স্ত্রী যা জানালেন…

Malda Murder: প্রাথমিক জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে, মৌমিতার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল নিহত ঠিকাদার সাদ্দাম নাদাপের। অভিযোগ, বিভিন্ন রকমের চাপ সৃষ্টি করে মৌমিতার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হত সাদ্দাম। স্বামী ও সন্তানকে খুনের হুমকি দিয়েও সাদ্দাম মৌমিতাকে বাধ্য করতেন বলে অভিযোগ।

Malda Murder: বাঙ্কারে ঢুকিয়ে করা হয় প্লাস্টার! একজন ঠিকাদারের ওপর কীসের এত আক্রোশ? হাড়হিম হত্যার মালদহে হাইস্কুলের শিক্ষকের স্ত্রী যা জানালেন...
বাঙ্কারে দেহ!Image Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jun 02, 2025 | 3:54 PM

শুভতোষ হালদার: মালদহের ঠিকাদারকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ। দেহ উদ্ধার দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনে!  ঘটনায় পুলিশের জালে হাইস্কুলের এক শিক্ষকের স্ত্রী! কিন্তু কেন খুন? কীভাবেই বা মালদহের ঠিকাদার সাদ্দাম নাদাপের দেহ পৌঁছল তপনে? উঠে আসছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশি জেরায় হাইস্কুলের শিক্ষকের স্ত্রী মৌমিতা হাসান যা জানিয়েছেন, তা অত্যন্ত রোমহর্ষকও বটে।

প্রাথমিক জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে, মৌমিতার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল নিহত ঠিকাদার সাদ্দাম নাদাপের। অভিযোগ, বিভিন্ন রকমের চাপ সৃষ্টি করে মৌমিতার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হত সাদ্দাম। স্বামী ও সন্তানকে খুনের হুমকি দিয়েও সাদ্দাম মৌমিতাকে বাধ্য করতেন বলে অভিযোগ।

তপনের শিওর গ্রামে মৌমিতার বাবার বাড়ি। সেই বাড়ির দেওয়াল থেকেই উদ্ধার হয় দেহ। বাড়ির দোতলায় একটা বাঙ্কার তৈরি করা হয়েছিল। সেই বাঙ্কারেই রাখা ছিল দেহ। যাতে গন্ধ না ছড়ায়, তাতে দেহ বাঙ্কারের ভিতর ঢুকিয়ে বাইরে দিয়ে করে দেওয়া হয়েছিল প্লাস্টার। সোমবার দেহ উদ্ধার করা হয়, পুলিশ জানাচ্ছে দেহে পচন ধরেছিল।

গত ১৮ মে সাদ্দামকে নিজের বাপেরবাড়িতে নিয়ে যান মৌমিতা। খুন করে বাঙ্কারে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। গ্রেফতারির পরও নির্বিকার মৌমিতা। তাঁর বক্তব্য, “আমাকে ব্ল্যাকমেইল করত। শারীরিক ছাড়া কোনও সম্পর্ক নেই। বলত, সে আত্মহত্যা করবে, আমার স্বামী-সন্তানকে মেরে ফেলবে বলত। এগুলো সবসময়ে বলত, ভয় দেখাত।”

বাঙ্কারের মধ্যে দেহ!

অভিযুক্তের স্বামী স্কুল শিক্ষক বলেন, “আমার বউকে কুপ্রস্তাব দিত। আমি স্কুলে চলে যেতেই, আমার স্ত্রীকে বলত এই কাজ করে দিচ্ছে। আমার স্ত্রীকে কাকিমা দিত।”

মৃতের স্ত্রী বলেন, “ওই মেয়ের যেন ফাঁসি হয়। আমি আমার স্বামীকে পাঁচ-ছদিন ধরে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। কিন্তু ওরা তো আমার স্বামীর কাছে ৪৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিল। ওরাই হুমকি দিত। ওদের কাছে আমার স্বামীর দেড় কোটি টাকা মতো রয়েছে।”

উল্লেখ্য, পুখুরিয়া এলাকারই বাসিন্দা সাদ্দাম নাদাপ ভিন রাজ্যে শ্রমিক সরবরাহকারী ঠিকাদার বা লেবার কন্ট্রাক্টর ছিলেন। অভিযুক্ত মহিলা ও তাঁর স্বামী তাঁর কাজে সহায়তা করতেন। মাসোয়ারা পেতেন পাঁচ হাজার টাকা করে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, অভিযোগ, ব্যবসার স্বার্থে দেওয়া প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা পাওনা ছিল ওই দম্পতির কাছে। গত ১৮ মে থেকে নিখোঁজ ছিলেন সাদ্দাম। তাঁর স্ত্রী মৌমিতা ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। এরপর মৌমিতাকে জেরা করতেই বেরিয়ে আসে আসল তথ্য।