বংশীহারী: আরজি করের রেশ কাটেনি। উত্তাল গোটা দেশ। এরই মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারীতে তেরো বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার ছেলের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, প্রমাণ লোপাটের জন্য ওই নাবালিকাকে খুন করার চেষ্টাও করেছিলেন তিনি বলে অভিযোগ। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসাধীন ওই স্কুল পড়ুয়া। গ্রেফতার অভিযুক্ত যুবক।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি স্থানীয় তৃণমূল বুথ সভাপতির ছেলে। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, বুধবার গভীর রাতে ওই স্কুল ছাত্রীর ঘরে ঢুকে পড়ে অভিযুক্ত। মেয়েটির পাশের ঘরে তার মা ঘুমোচ্ছিল। সেই সময় ওই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। প্রমাণ না রাখার জন্য অভিযুক্ত প্যান্টের দড়ি দিয়ে তাকে খুন করার চেষ্টাও করে বলে দাবি পরিবারের। মেয়েটির গলায় দাগ রয়েছে। তবে মেয়েটির চিৎকারে ছুটে আসে পরিবার ও প্রতিবেশীরা। অবস্থা বেগতিক দেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। এ দিকে, রাতেই নির্যাতিতাকে গঙ্গারামপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ সকালে অবস্থা বেগতিক দেখে অভিযুক্ত পালাতে গেলে তাঁকে ধরে ফেলে পুলিশ। প্রথমে আটক করে নিয়ে যাওয়া হলেও পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
এদিকে বিষয়টি জানাজানি হতেই ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন বিজেপির প্রতিনিধি দল। যাওয়ার কথা রয়েছে তপনের বিজেপি বিধায়ক তথা আদিবাসী মুখ বুধরাই টুডর। তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের এই ঘটনা নতুন নয় বলে বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরীর দাবি করেছেন। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন
In a deeply shocking incident in Bishohari Danga, Dakshin Dinajpur, a young tribal girl in the 5th standard was heinously raped by a TMC worker, whose father is also a TMC leader. This criminal not only violated her but also tried to take her life by hanging her. @MamataOfficial
— Dr. Sukanta Majumdar (@DrSukantaBJP) August 29, 2024
পাল্টা তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন,”যে এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকুক আইন আইনের পথে হাঁটবে। তা সে অভিযুক্তর পরিবার তৃণমূল কর্মী সমর্থক হতে পারেন।” অন্যদিকে জেলা পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল বলেন, “একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” নির্যাতিতার মা বলেন, “পাশের ঘরে ঘুমোচ্ছিলাম। আমরা আওয়াজ শুনে দৌড়ে এসেছি। যেই এসেছি ছুটে অমনি ও আমাদের ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে গেল।”