
বালুরঘাটঃ বিষ খাইয়ে ছাগল (Goat) মেরেছে প্রতিবেশী। এমন অভিযোগ তুলে মৃত ছাগলকে ভ্যান করে নিয়েই থানায় হাজির মালিক। রবিবার দুপুরে এমন ঘটনায় ব্যাপক কার্যত স্তম্ভিত হয়ে পড়েন থানার পুলিশ কর্মীরা। ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাট (Balurghat) শহরের চকভৃগু গ্রন্থাগারপাড়া এলাকায়। ভ্যান চলাক পলাশ রায় প্রতিবেশী তরুণ কান্তি সরকার ওরফে শংকর সরকারের বিরুদ্ধে বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ পেতেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ। অভিযুক্ত তরুণ কান্তি সরকারের দাবি তাঁদেরকে ফাঁসানোর জন্য এমনটা করা হয়েছে।
বালুরঘাটের চকভৃগু গ্রন্থাগারপাড়া এলাকাতেই থাকেন পলাশ রায়। সংসারে অভাব অনটন থাকায় স্ত্রীকে নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে তিনি ছাগল প্রতিপালন করেন। অভিযোগ, এদিন দুপুরে নদীর পাশে পলাশবাবুর একটি ছাগলকে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে সেখানে এসে দেখেন পলাশবাবু দেখেন ছাগলটি বিষ খেয়েছে। সঙ্গে সন্দেদের তির যায় প্রতিবেশী শংকর সরকারের দিকে। তাঁর অভিযোগ, এর আগেও তাঁর একটি ছাগলকে একইভাবে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলা হয়েছিল।
এ ঘটনারই প্রতিকার চাইতে মৃত ছাগলকে ভ্যান রিকশায় চাপিয়ে সটান থানায় চলে যায় পলাশবাবু। প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে নিজের পোষ্য ছাগলকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। পলাশবাবুর দাবি, শংকরবাবুই তাঁর বাড়ির পাশে সমস্ত গাছের গোড়ায় গমের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে ছড়িয়ে রেখেছিলেন। সেই গম খেয়েই মৃত্যু হয়েছে তাদের ছাগলের।
এবিষয়ে পলাশের স্ত্রী প্রতিমা রায় বলেন, আমাদের ছাগলকে বিষ খাইয়ে মারা হয়েছে। এর আগেও এই ঘটনা ঘটেছে। ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। অভিযুক্ত তরুণ কান্তি সরকার বলেন, “ আমাদের ফাঁসানোর জন্য এমনটা করছে৷ এর আগেও এমন ভাবে ফাঁসিয়েছিল৷ এবারেও সেই একই ঘটনা পুনরাবৃত্তি করতে চাইছেন। যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।” ঘটনার বিষয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা।