বালুরঘাট: গণনা কেন্দ্রের ভিতরেই কারচুপি করছে তৃণমূল। এই অভিযোগ তুলল বিজপি। তাদের অভিযোগ,বিজেপি প্রার্থীরা জয়ী হওয়ার পরও তাদের হারিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমনকী পঞ্চায়েত সমিতিতে হেরে যাওয়া এক তৃণমূল প্রার্থীকে জিতিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আর এই খবর চাউর হতেই বালুরঘাট কলেজের স্ট্রং রুমে হাজির বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। পাশাপাশি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা, ডিএসপি হেড কোয়ার্টার সোমনাথ ঝাঁ সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী।
বস্তুত, বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ২২ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ও বিজেপি এগারোটিতে জয়ী হয়। এমনকী বিজেপির ১১ জন জয়ী প্রার্থীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল শংসাপত্র। অভিযোগ, জয়ের শংসাপত্র দেওয়ার পরও জানানো হয় তৃণমূল ১২ ও বিজেপির ১০ টি আসন পেয়েছে। এর পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এরপর খবর পান আরও এক পঞ্চায়েত সমিতির হেরে যাওয়া তৃণমূল প্রার্থীকে জেতানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এরপরই রাত প্রায় একটার দিকে বালুরঘাট কলেজে পৌঁছন সুকান্ত। কেন এমনটা হচ্ছে জানতে বালুরঘাটের বিডিওর সঙ্গে দেখা করতে চান সুকান্ত। তবে দেখা করেননি বিডিও৷ এরপরই বালুরঘাট পুরসভার সামনে বসে থাকেন প্রায় ভোর সাড়ে তিনটা পর্যন্ত।
পরে দলীয় প্রার্থী ও এজেন্টরা নিরাপদে স্ট্রং রুম থেকে বেরিয়ে আসার পরে বালুরঘাট কলেজ চত্বর ছাড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন ভোর সাড়ে তিনটা নাগাদ তিনি বালুরঘাট কলেজ চত্বর ছাড়েন ৷ এদিকে গণনা কেন্দ্র ছাড়ার আগেও দলীয় এজেন্টদের ঢুকতে না দেওয়ায় পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপি নেতৃত্বরা। এমনকী গণনা কেন্দ্র চত্বরেই চলে তৃণমূল বিজেপির স্লোগান পাল্টা স্লোগান।