Balurghat: ৪৭ সালের পর এই প্রথমবার…, বাংলার এই জায়গায় এখন উৎসবের আনন্দ

Balurghat:উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের নজরে বিষয়টি তুলে ধরে রাস্তা নির্মাণের জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ কর্মাধ্যক্ষ কৌশিক মাহাত। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর থেকে ওই দুই কিলোমিটার রাস্তাটি কংক্রিটের নির্মাণ করা জন্য একটি প্রকল্পের বরাত প্রক্রিয়া সম্প্রতি সম্পন্ন করা হয়।

Balurghat: ৪৭ সালের পর এই প্রথমবার..., বাংলার এই জায়গায় এখন উৎসবের আনন্দ
কী হচ্ছে এখানেImage Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jul 07, 2025 | 5:59 PM

হিলি: স্বাধীনতার পর এই প্রথমবার। বিরাট আনন্দ এখন বাংলার এই গ্রামের মানুষের। কারণটা জানলে রীতিমতো অবাক হবে। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, ১৯৪৭ সালের পর এই প্রথম পাকা রাস্তার স্বাদ পেতে চলেছেন তাঁরা। তাও আবার দুর্গাপুজোর আগেই। এতদিন পর্যন্ত রাস্তা ছিল। তবে ইট পাতা ছিল তাতে। কিন্তু পিচ পড়েনি। এই প্রথম তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদের উদ্যোগে তৈরি হল পাকা পিচের রাস্তা। ঘটনাটি দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলির।

নতুন এই রাস্তা নির্মাণের মাধ্যমে বালুরঘাট ব্লকের সঙ্গে হিলি ব্লকের যোগাযোগ ব্যবস্থা মসৃণ হচ্ছে। বালুরঘাটের চিঙ্গিশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্গাপুর থেকে হিলির বিনশিরা গ্রাম পঞ্চায়েতের মকরামপুর ফুটবল মাঠ পর্যন্ত নতুন পাকা রাস্তার সংযোগ বাড়ছে। পৃথক একটি প্রকল্পে বিএসএফ থেকে সাধারণ মানুষের চলাচলের রাস্তাও সংস্কার করছে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর। সোমবার দুপুরে একটি অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দুটি রাস্তার শিলান্যাস করলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ কর্মাধ্যক্ষ কৌশিক মাহাত। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল, বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অরুপ সরকার প্রমুখ।

বালুরঘাট ব্লকের চিঙ্গিসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্গাপুর থেকে হিলি ব্লকের বিনশিরা গ্রাম পঞ্চায়েতের মকরামপুর ফুটবল মাঠ পর্যন্ত ২ কিলোমিটার পাকা রাস্তা নির্মাণ হয়নি। দুই ব্লকের প্রান্তিক এলাকার পাঁচটি গ্রামকে যুক্ত করে ওই রাস্তাটি। কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে মানুষজন দাবি তুলেও নতুন পাকা রাস্তা নির্মাণের প্রতুলতায় ভোগান্তির শিকার হয়েছে। নির্বাচনে জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। পরবর্তীতে রাস্তা নির্মাণ হয়নি। তবে সাধারণ মানুষের দাবিতে পদক্ষেপ করে স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্য।

উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের নজরে বিষয়টি তুলে ধরে রাস্তা নির্মাণের জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ কর্মাধ্যক্ষ কৌশিক মাহাত। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর থেকে ওই দুই কিলোমিটার রাস্তাটি কংক্রিটের নির্মাণ করা জন্য একটি প্রকল্পের বরাত প্রক্রিয়া সম্প্রতি সম্পন্ন করা হয়। তার সঙ্গে হিলি ব্লকের জামালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নারকেল বাগান এলাকা থেকে জামালপুর সীমান্ত পর্যন্ত বিটুমিন রাস্তার পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেন জেলা পরিষদ সদস্য। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর থেকে ওই রাস্তাটি পুর্ননির্মাণের জন্য সম্প্রতি বরাত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।

সোমবার দুপুরে বালুরঘাট ব্লকের চিঙ্গিশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্গাপুর এলাকার কাঁচা রাস্তা সংলগ্ন এলাকায় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে ৩ কোটি ২১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি নতুন কংক্রিটের ঢালাই রাস্তা নির্মাণের শিলান্যাশ পরিবেশ কর্মাধ্যক্ষ কৌশিক মাহাত। দুর্গাপুজোর আগেই নতুন রাস্তা সাধারণ মানুষ ব্যবহার করতে পারবেন বলে আশ্বাস দেন কর্মাধ্যক্ষ। দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হওয়ায় খুশি সাধারণ মানুষ।

এপ্রসঙ্গে জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ কর্মাধ্যক্ষ কৌশিক মাহাত বলেন, “রাস্তাটির জন্য সাধারণের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। কিন্তু পূর্বের কোনও জনপ্রতিনিধি মানুষের দাবিতে আমল দেননি। আমি নির্বাচনের সময় মানুষের দাবি শুনে রাস্তা নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। কয়েকমাসে পরিকল্পনা করার জন্য যখন ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে করে নিয়ে আসি, তখন মানুষ বিদ্রুপ করছিল। কিন্তু মানুষের দাবিকে মান্যতা দিয়ে নতুন রাস্তা নির্মাণ কাজের শিলান্যাস করলাম।”