Russia Ukraine Conflict: বাড়ি ফিরলেও এখনও মাথার ভিতর বোমারু বিমান ঘুরছে বালুরঘাটের জয়তীর
Balurghat: বাড়ি ফিরেও ত্রস্ত! উসখুস করছে ডাক্তারি পড়ুয়া। আসলে থেকে থেকেই মনে কড়া নাড়ছে মিসাইল, অনবরত গুলিবর্ষণের শব্দ।
দক্ষিণ দিনাজপুর: বালুরঘাটের নারায়ণপুর থেকে ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়তে গিয়েছিলেন জয়তী রায়। কিন্তু গত কয়েকদিনের পরিস্থিতি সেসব ওলট-পালট করে দিয়েছে। প্রাণ নিয়ে কোনওমতে দেশে ফিরে আসাটাই একটা সময় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বাড়ি ফিরলেও এখনও মাথার ভিতর বোমারু বিমানের আনাগোনা এই তরুণীর। রবিবার সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরেছেন জয়তী। সীমান্ত পার করে ভারত সরকারের ব্যবস্থায় দিল্লি। সেখান থেকে কলকাতা হয়ে বালুরঘাট। পুলিশ প্রশাসন গাড়িতেই কলকাতা থেকে বালুরঘাট ফেরানোর ব্যবস্থা করেছে। বাড়ি ফিরেও ত্রস্ত! উসখুস করছে ডাক্তারি পড়ুয়া। আসলে থেকে থেকেই মনে কড়া নাড়ছে মিসাইল, অনবরত গুলিবর্ষণের শব্দ।
জয়তী রায়ের কথায়, “আমি তো ভাবতেই পারছিলাম না যে বাড়িতে ফিরব। ওখানে আমি কিয়েভে ছিলাম। যখন তখন বোমার শব্দ। আমরা বাঙ্কারে ছিলাম। তিনদিনের বেশি সেখানেই ছিলাম। এরপর নিজেরাই ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি ভাড়া করে সীমান্ত পার করি। তবে সীমান্ত পার করার পর ভারত সরকার আমাদের সবরকম সহযোগিতা করেছে। অবশ্য সীমান্ত অবধি আসার আগে ট্রেনে আমাদের একটা সমস্যা হয়েছিল। ট্রেনের আসনে বসার জন্য ওদের স্থানীয় লোকজনকে আগে সুযোগ দেওয়া হচ্ছিল। আমরা টিকিট কাটলেও ইউক্রেনের যারা, তাদেরই বসার সুযোগ ছিল। আমরা প্রায় ১৮ হাজার মেডিকেল পড়ুয়া এসেছি। আমাদের পড়াশোনাটা একটা প্রশ্নের মুখে পড়ে যাবে এবার। সরকার যদি সেটা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করে খুব ভাল হয়।”
জয়তীর বাবা দীপঙ্কর রায়ের কথায়, “ভীষণই উৎকন্ঠায় ছিলাম। এরকম একটা পরিস্থিতি। মেয়ে যে বাড়িতে ফিরবে এ আশাই আমরা করিনি। আমাদের কেন্দ্র সরকার, রাজ্য সরকার থেকে স্থানীয় প্রশাসন সকলেই খুব সহযোগিতা করেছে।” বহু লড়াই করে বাড়ি ফিরেছে মেয়ে। মেয়েকে কাছে পেয়ে চোখের জল বাধ মানছিল না মা-বাবার। জয়তীর ফেরার খবর পেয়ে পাড়া ভেঙে পড়েছে রায় বাড়িতে। ছোট থেকে দেখেছে মেয়েটিকে। এত বড় বিপদের সঙ্গে লড়ে বাড়ি ফিরেছে, সকলেই দেখা করতে এসেছে তাঁর সঙ্গে।
আরও পড়ুন: Naihati: নিম্নাঙ্গ ভাসছে রক্তে, ঘটনার ঘণ্টা দুই আগেই নিষিদ্ধপল্লি এলাকায় জওয়ান…