
কুমারগঞ্জ: শুধু মালদহ আর মুর্শিদাবাদ নয়। উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা তাদের নজরে। বুঝিয়ে দিচ্ছে আসাদউদ্দিন ওয়েইসির ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীন’ (AIMIM)। দক্ষিণ দিনাজপুরেও শক্তি বাড়াল ওয়েইসির মিম। ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে বাম, তৃণমূল ছেড়ে বেশ কয়েকজন যোগ দিলেন মিমে। খোলা ময়দানে বৈঠক করতেও দেখা যাচ্ছে মিমের নেতা-কর্মীদের। জেলায় অধিকার যাত্রাও করতে চলেছেন তাঁরা।
সোমবার সন্ধেয় দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ বিধানসভার ১ নম্বর সাফানগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় নিজেদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সাংগঠনিক সভা করে মিম। কুমারগঞ্জ বিধানসভার জনসাধারণের একাধিক দাবি নিয়ে খুব শীঘ্রই অধিকার যাত্রা শুরু করা হবে বলে ওই সভা থেকে জানানো হয়। পরে যোগদান অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে সিপিএম ও তৃণমূল ছেড়ে বেশ কয়েকজন মিমে যোগদান করেন। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মিমের জেলা সহ সভাপতি মহম্মদ জালাল সরকার, ব্লক সভাপতি মাহাবুর মিয়া-সহ মিমের একাধিক নেতা। মিমের জেলা সভাপতি উম্মেদ আলি খান বলেন, “সিপিএম ও তৃণমূল ছেড়ে প্রায় ৫০ জন আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন।”
প্রধানত হায়দরাবাদের দল হলেও এখন বিভিন্ন রাজ্যে শক্তি বিস্তারের লক্ষ্য নিয়েছে মিম। সদ্য সমাপ্ত বিহার নির্বাচনে তারা ৫টি আসন জিতেছে। এখন ওয়েইসির লক্ষ্য, বাংলায় দলের সংগঠনকে মজবুত করা। মালদহের ১২টি বিধানসভা আসনেই তাঁরা প্রার্থী দেবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন মিমের জেলা নেতৃত্ব। আর মুর্শিদাবাদে হুমায়ুন কবীর ঘোষণা করেছেন, তিনি নতুন দল করে নির্বাচনে যখন লড়বেন, তখন মিমকে কয়েকটি আসন ছাড়বেন। শুধু যে মালদহ ও মুর্শিদাবাদে দলের সংগঠনকে সীমাবদ্ধ রাখতে চায় না তারা, তা ক্রমশ স্পষ্ট করে দিচ্ছে মিম।
প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের মাত্র ৬টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল মিম। এবার তাদের নজর বাংলার শতাধিক আসনে। অন্যান্য জেলার পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুরেও নিজেদের শক্তি বাড়াচ্ছে মিম।