বালুরঘাট: পথে নেমেছেন ব্যবসায়ীরা। অবরোধ করেছেন জাতীয় সড়ক। তাঁদের সকলের দাবি একটাই। বদলানো যাবে না থানার বড়বাবুকে। অভিযোগ, চক্রান্ত করে রামপুর পুলিশ ফাঁড়ির বড়বাবুকে বদলি করা হয়েছে। আর এরই প্রতিবাদে পথে নেমেছেন তাঁরা। অভিযোগ, রামপুরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী বরুণ কর্মকার ওরফে সুকুই নিজের বড়বাবুর নামে ক্রমাগত মিথ্যা কথা বলে সরিয়ে দিয়েছে এসআইকে। তবে প্রশ্ন উঠছে, থানার পুলিশ আধিকারিকদের বদলি প্রশাসনের তরফে হয়ে থাকে। অথচ অভিযুক্ত বরুণ সেই পদে নেই। তাহলে তাঁর অঙ্গুলিহেলনে একজন পুলিশ আধিকারিককে কীভাবে সরানো হল? উঠছে প্রশ্ন। যদিও, যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এই বিষয়ে পুলিশ মুখ না খুললেও, প্রশাসন সূত্রে খবর এটি রুটিন বদলি হলেও হতে পারে।
মঙ্গলবার বিকেলে রামপুর বাসস্ট্যান্ডে ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন ব্যবসায়ীরা। ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে তপন ব্লকের হরসুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের রামপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। অবরোধকারী ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, রামপুরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী বরুণ কর্মকার ওরফে সুকু মিথ্যা কথা বলে দোকানদারদের কাছ থেকে সই করিয়ে নেন। এবং চক্রান্ত করে রামপুর পুলিশ ফাঁড়ির বড়বাবু এসআই আসিরুল হকের বদলির ব্যবস্থা করেন।
এই ঘটনার প্রতিবাদে বিকেল পাঁচটা নাগাদ জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা। অবরোধের ফলে ওই রাস্তায় যান চলাচল সম্পূর্ণ স্তব্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে রামপুর পুলিশ ফাঁড়ির আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনার পর আধঘণ্টা পর অবরোধ উঠে যায়।
বিক্ষোভকারী পার্থ দাস বলেন,”বিক্ষোভকারী পার্থ দাস বলেন,”বড়বাবু খুব ভাল ছিলেন। সুকু কর্মকার আমাদের থেকে মিথ্যা সই করিয়ে বড়বাবুকে সরানোর ষড়যন্ত্র করেছে। আর বড়বাবুকে সরিয়ে। ওই বড়বাবুকে আবার চাই।” বিক্ষোভকারী দীপক সরকার, “ওই সুকু ভুলভাল কাগজে সই করিয়েছে। বারবার গিয়ে বড়বাবুর নামে নালিশ করেছে। আমরা চাই ওর শাস্তি হোক। অরুণ কর্মকার নিজে তো মেয়েবাজি কাজের সঙ্গে সমস্ত রকমভাবে লিপ্ত।”