দক্ষিণ দিনাজপুর: শিক্ষক, শিক্ষিকারা সময়মতো স্কুলে আসেন না। অভিযোগ পেয়ে শনিবার দুপুরে তপনের কমলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে ক্লাস নিতে হল দক্ষিণ দিনাজপুর প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান সন্তোষ হাঁসদাকে। অভিযোগ, পাঁচজন শিক্ষক রয়েছেন স্কুলে। তবে এদিন মাত্র একজন সময়মতো স্কুলে এসেছেন। চারজনই আসেননি। শোকজও করা হয়েছে তাঁদের। পাশাপাশি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ অফিসের চেয়ারম্যানের দফতরে হাজিরার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
এ নিয়ে বালুরঘাটে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ডিপিএসসির চেয়ারম্যান সন্তোষ হাঁসদা। একইসঙ্গে তপনের একাধিক প্রাথমিক স্কুলও পরিদর্শন করেন তিনি। এদিন নির্দিষ্ট সময় পার করে স্কুলে আসেন চার শিক্ষক। এসে দেখেন ক্লাসরুমে শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান। ক্লাস নিচ্ছেন তিনি।
স্কুলে ঢুকতে কেন এতটা দেরি শিক্ষকদের? জবাবে কেউ জানান, মিড ডে মিলের বাজারে দায়িত্ব ছিল, তাই দেরি হয়েছে। আবার কেউ বলেন, অফিসের কাজ করতে গিয়ে দেরি হয়ে গিয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন চক্রের কমলপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই খবর নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান সন্তোষ হাঁসদা জানান, শিক্ষকদের নিয়ম মেনে স্কুলে আসা নিয়ে প্রায়শই অভিযোগ পেতেন। এদিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখেন, নির্ধারিত সময় পার করে স্কুলে এসেছেন শিক্ষকরা। তিনি জানান, সমস্ত স্কুল শিক্ষককে নির্দেশ দিয়েছেন আগামী সোমবার বিকাল ৪টের পর কাগজপত্র নিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অফিসে এসে দেখা করতে।