দক্ষিণ দিনাজপুর: ভাই বোনের বচসা মিটাতে গিয়ে খুন হতে হয়েছিল প্রতিবেশী মহিলাকে, দুবছর অভিযুক্তকে ৭ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক৷ জানা যাচ্ছে, বছর দুয়েক আগে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ ব্লকের ভোঁওর গ্রাম পঞ্চায়েতের পলিপাড়ায় এক মহিলাকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করলেন বালুরঘাট জেলা আদালতের অতিরিক্ত নগর ও দায়রা আদলতের স্পেশাল কোর্টের বিচারক অনন্ত কুমার সিংহ মহাপাত্র। বুধবার অভিযুক্ত চন্দন দাসকে দোষী সাব্যস্ত করে বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক।
পলিপাড়া এলাকার দীর্ঘদিনের বাসিন্দা ছিলেন জবা টুডু৷ তিনি তাঁর মেয়ের বাড়িতে থাকতেন। অন্যদিকে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের কুনর হাটপাড়া এলাকার বাসিন্দা চন্দন দাস। তাঁরও দিদির বিয়ে হয়েছে পলিপাড়া এলাকায়। গত ২০২০ সালের ১২ জুন চন্দন দাসের সঙ্গে তাঁর দিদির টাকা নিয়ে বিবাদ হয়৷ সেই বিবাদের আওয়াজ শুনতে পেয়ে ঘটনাস্থলে যান প্রতিবেশী জবা টুডু। অভিযোগ, চন্দন দাস তাঁর দিদিকে মারধর করার সময় জবা টুডু বাঁচাতে যান। সেই সময় জবা টুডুর ওপর বাঁশ দিয়ে হামলা চালায় চন্দন। ঘটনায় মৃত্যু হয় জবা টুডুর।
এরপর কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ এই ঘটনায় মামলা দায়ের করে৷ সেই মামলা দীর্ঘ ২ বছর চলার পর বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে সাজা ঘোষণা করেন বিচারক।
এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সরকারি আইনজীবী বালুরঘাটে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “প্রায় দু’বছর আগে ওই মহিলাকে অনিচ্ছাকৃতভাবে খুন করেন চন্দন দাস। এই ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় মামলা রুজু করে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ৷ সেই মামলায় আজ রায় শোনান বালুরঘাট জেলা আদালতের অতিরিক্ত নগর ও দায়রা আদলতের স্পেশ্যাল কোর্টের বিচারক অনন্ত কুমার সিংহ মহাপাত্র।”
বুধবার অভিযুক্ত চন্দন দাসকে দোষী সাব্যস্ত করে বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক।