Suvendu Adhikari: ‘CAA-তে আবেদন করে দিন, বড় গ্যারেন্টার নরেন্দ্র মোদী’, মথুরাপুরে দাঁড়িয়ে আশ্বাস শুভেন্দুর

Suvendu Adhikari On CAA: এই প্রথম নয়, আগেও তিনি বারবার এই আশ্বাস দিয়েছেন, এসআইআরে ভারতীয় মুসলিমদের কোনও সংশয় নেই। উল্লেখ্য, এই আশ্বাস দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর।  SIR উদ্বেগের আবহে ঠাকুরবাড়ি থেকে দেদার বিলি হচ্ছে ‘হিন্দুত্বের কার্ড’! 

Suvendu Adhikari: CAA-তে আবেদন করে দিন, বড় গ্যারেন্টার নরেন্দ্র মোদী, মথুরাপুরে দাঁড়িয়ে আশ্বাস শুভেন্দুর
মথুরাপুরে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীImage Credit source: TV9 Bangla

Nov 03, 2025 | 7:03 PM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ২০০২ সালের পর যে সমস্ত বাংলাদেশি হিন্দু ভারতে প্রবেশ করেছেন, তাঁরা উদ্বেগে রয়েছেন। কারণ ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে তাঁদের নাম থাকার কথা নয়। তাহলে? রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী উপায় বাতলে দিলেন। বললেন, ‘CAA-তে আবেদন করে দিন।’ সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরে বিজেপির সাংগঠনিক জেলার ডাকে প্রতিবাদ কর্মসূচির মঞ্চ থেকে শুভেন্দু বলেন, “বাংলাদেশি হিন্দুদের ভোট ভোটার তালিকায় থাকবে। যাদের ২০০৪ পর্যন্ত জন্ম ভারতে, তাঁরা সুরক্ষিত, ২০০৮ পর্যন্ত বাবা-মায়ের এখানে জন্ম, তাঁরা সুরক্ষিত। ২০০২ সালের পর যাঁরা এসেছেন. CAA তে অ্যাপ্লাই করে দিন, বড় গ্যারেন্টার নরেন্দ্র মোদী, ছোট গ্যারেন্টার শুভেন্দু-সুকান্ত-শমীক।”

এই প্রথম নয়, আগেও তিনি বারবার এই আশ্বাস দিয়েছেন, এসআইআরে ভারতীয় মুসলিমদের কোনও সংশয় নেই। উল্লেখ্য, এই আশ্বাস দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর।  SIR উদ্বেগের আবহে ঠাকুরবাড়ি থেকে দেদার বিলি হচ্ছে ‘হিন্দুত্বের কার্ড’!  ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য উদ্বাস্তু ও মতুয়াদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে ঠাকুরনগরে চলছে ক্যাম্প। এর উদ্দেশ্য হল মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের আওতায় এনে নাগরিকত্বের আবেদন করতে সহায়তা করা। এদিকে, নাগরিকত্বের আবেদন করতে লাগবে হিন্দুত্বের কার্ড কিংবা মতুয়া কার্ড! সেই কার্ড দেওয়ারই ক্যাম্প চলছে ঠাকুরবাড়িতে।

২০০২ সালের ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম নেই, কিন্তু পরবর্তীতে তাঁরা ভোটার তালিকায় নাম তুলেছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। আর ঠাকুরবাড়িতে সেই কার্ড নেওয়ারই হিড়িক পড়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মতুয়ারা আসছেন হিন্দুত্বের কার্ড নিতে। কার্ড দিচ্ছে ‘অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘ’, আর তাতে স্বাক্ষর রয়েছে সঙ্ঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুরের।

উল্লেখ্য, শান্তনু ঠাকুর আশ্বাস দিয়েছেন, SIR-এ যদি নাম বাদ যায়, তাহলে CAA-এর মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাবেন মতুয়ারা। শান্তনু ঠাকুর বলেন, “CAA-তে আবেদন করুন। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করব, যাদের ২০০২ সালের লিস্টে নাম নেই, তাদের নাম যাতে না কাটা হয়। প্রধানমন্ত্রী আগেই বলে দিয়েছেন, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নয়, ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যাঁরা এসেছেন, তাঁরা ভারতে থাকবেন। তাঁদের অন্যত্র পাঠানো হবে না।”

যদিও তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিনও স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, “আমি অনুরোধ করব,  CAA ক্যাম্পের ফাঁদে পা দেবেন না। যদি এই ফাঁদে পা দেন, অসমে ১২ লক্ষ হিন্দু বাঙালির মতো অবস্থা হবে। সবাইকে ডিটেনশন ক্যাম্পে ফেলবে। তৃণমূল থাকতে কাউকে ডিটেনশন ক্য়াম্পে যেতে হবে না। কেউ ভয় পাবেন না।”