Pradhan Mantri Awas Yojana : ‘এবার ঘর পেতে পারি’, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় আবেদন করে বললেন শুভেন্দু অধিকারী

Pradhan Mantri Awas Yojana : এদিন মামনা এলাকায় আবাস যোজনার সার্ভের কাজ করছিলেন জেলা শাসক বিজিন কৃষ্ণা। তাঁকে দেখা মাত্রই তাঁর কাছে ছুটে যান শুভেন্দু।

Pradhan Mantri Awas Yojana : ‘এবার ঘর পেতে পারি’, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় আবেদন করে বললেন শুভেন্দু অধিকারী

| Edited By: জয়দীপ দাস

Dec 16, 2022 | 7:16 PM

বালুরঘাট: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (Pradhan Mantri Awas Yojana) ঘর পেতে সরকারের কাছে আবেদন শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। সূত্রের খবর, বছর চারেক আগেই ঘরের জন্য আবেদন করেছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের চকভৃগু গ্রাম পঞ্চায়েতের মামনা এলাকার শুভেন্দু (৩২)। তবে তাঁর অভিযোগ, দীর্ঘদিন আগে ঘরের জন্য আবেদন করেও এখনও পর্যন্ত জোটেনি ঘর। যে কারণে তিনি ফের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রশাসনের। গ্রামের ছাপোষা খেটে খাওয়া মানুষ হিসেবেই পরিচিত শুভেন্দু। লটারি বিক্রি করে চলে দিন। বাবা শিবু অধিকারী মাঠে চাষের কাজ করেন। বাবা-ছেলের পরিশ্রমের কাঁধে ভর করে কোনওরকমে চলে সংসারের ঘানি। মাথা গোঁজার ঠাঁই টুকুও শক্তপোক্ত নয় অধিকারীর পরিবারের। টিনের ছাউনি দেওয়া একটুকরো ঘরে কাটে রাত।

সূত্রের খবর, ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘরের জন্য আবেদন করেন শুভেন্দু। কিন্তু অজানা কারণে মেলেনি ঘর। বর্তমানে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বর্তমানে জেলায় শুরু হয়েছে আবাস যোজনার ঘর পাওয়ার সার্ভের কাজ। আশাকর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন স্তরের সরকারি আধিকারিকরা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে আবাস যোজনার সার্ভের কাজ সরেজমিনে খতিয়ে দেখছেন। বহু জায়গায় বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছে। বিরোধীরা কাঠগড়ায় তুলেছে শাসক তৃণমূলকে। অযোগ্যা প্রার্থীদের ঘর পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জেলা স্তরের বহু তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। এমনকী সার্ভের কাজে গিয়ে ঘাসফুল শিবিরের নেতাদের কথা না শুনলে আশাকর্মীদের কাজে বাধা দেওয়ার ছবিও সামনে এসেছে। কোথাও আবার মারধর করা হয়েছে সরকারি আধিকারিকদের।

বালুরঘাটের শুভেন্দু অধিকারী

এদিন মামনা এলাকায় আবাস যোজনার সার্ভের কাজ করছিলেন জেলা শাসক বিজিন কৃষ্ণা। তাঁকে দেখা মাত্রই তাঁর কাছে ছুটে যান শুভেন্দু। বলেন নিজের সমস্যার কথা। সব শুনে জেলাশাসক তাঁকে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। তাতেই নতুন করে আশায় বুক বাঁধছে অধিকারী পরিবার। আশা, এবার হয়তো মিলবে মাথার উপর পাকা ছাদ! এ বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “২০১৮ সালে ঘরের জন্য আবেদন করেছিলাম। বেশ কয়েকবার প্রশাসনের তরফ থেকে বাড়িতে এসে সব খতিয়ে দেখা হয়। কিন্তু আজও মেলেনি ঘর। আজ ফের ঘর দেখতে বাড়িতে এসেছিলেন জেলা শাসক। তাঁকে সবটা খুলে বলেছি। এবার হয়তো ঘর পেতে পারি।”