তপন (দক্ষিণ দিনাজপুর): বাড়ির বাইরে বেরতেই মূল দরজায় তালা মেলে পালিয়ে গেল স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ি লোকজন। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও খোলেনি দরজা। অবশেষে স্বামীর বাড়িতে প্রবেশের জন্য দরজার সামনেই ধরনায় বসলেন স্ত্রী। শনিবার দুপুরে ঘটনাটি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়াল তপন থানার মাঝিখন্ডায়। স্বামীর বাড়ির দরজা না খোলায় অবশেষে স্ত্রী তপন থানার দ্বারস্থ হন ওই গৃহবধূ। এদিকে অভিযোগ পেতে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তপন থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তপন থানার মাঝিখন্ড এলাকার ইয়াস কুরুনি ও গঙ্গারামপুর থানার চালুনের বাসিন্দা শারমিন খাতুনের রেজিস্ট্রি বিয়ে হয়। দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বছর তিনেক আগে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ হয়েছে। তারা একসঙ্গে দীর্ঘদিন ছিলেন। বিয়ের পর থেকে স্বামী স্ত্রী গৃহবধূর বাপের বাড়িতেই থাকতেন। তারপর মাস ছয়েক আগে ওই দম্পতি তপনের মাঝিখন্ডায় এলাকায় স্বামীর বাড়িতে চলে আসেন। এখনেও দীর্ঘদিন ধরে এক সঙ্গে ছিলেন তাঁরা। গতকাল স্ত্রী বালুরঘাটে কাজে এসেছিলেন। এরপর বাড়ি ফিরে গিয়ে দেখেন বাড়ির মূল দরজায় তালা লাগানো। বাড়িতে কেউ নেই। ফোন করলেও ফোন ধরেনি কেউ। এরপরে স্বামীর বাড়ির সামনে ধরনায় বসেন স্ত্রী।
পরিবার সূত্র জানা গিয়েছে, ছেলের তরফে বিয়ের জন্য ৩০ লক্ষ টাকা চেয়েছিল। যার মধ্যে ১৫ লক্ষ টাকা ইতিমধ্যেই দিয়েছেন গৃহবধুর পরিবার। কেন এমনটা করা হল তা নিয়েই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন পরিবার। যদিও এনিয়ে স্বামী বা তার পরিবারের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।