হিলি: শুল্ক দফতরের বাজেয়াপ্ত করা এক কেজি সোনা চুরির ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্ত। জানা গিয়েছে, দফততরের দুই অস্থায়ী কর্মীর পর গ্রেফতার হয়েছে মূল চক্রী। সোমবার গভীর রাতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলির বক্সীগঞ্জ এলাকার নিজস্ব বাসভবন থেকে পার্থ সাহা নামে ওই সোনা ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে হিলি থানার পুলিশ ৷ ধৃতকে মঙ্গলবার দুপুরে বালুরঘাট জেলা আদালতে পেশ করা হয়। এই ঘটনায় আর কে কে জড়িত রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে আদালতের কাছে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানায় হিলি থানার পুলিশ ৷ এদিকে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এদিন সন্ধ্যায় হিলি থানায় যাওয়ার কথা রয়েছে জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে’র।
জানা গিয়েছে, গত নভেম্বর মাসে হিলি স্থলবন্দরের শুল্কদফতরের কার্যালয় থেকে বিপুল পরিমাণ বাজেয়াপ্ত করা সাতটি সোনার বাট উধাও হয়ে যায়। সব মিলিয়ে যার ওজন প্রায় ১ কেজি বলে অনুমান। ঘটনায় শুল্কদফতরের প্রতিরোধ শাখার ইন্সপেক্টর বলাদিত্য বারিক হিলি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তড়িঘড়ি ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তবে সূত্রের অভাবে দীর্ঘসময় তদন্তে বেগ পেতে হয় আধিকারিকদের। গতমাসে ঘটনার তদন্তে শুল্কদফতরের অস্থায়ী দুই কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ তাঁদের জিজ্ঞেসাবাদ করেই ঘটনার খোলসা করে তদন্তকারীরা। এদিকে ওই ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তে শুল্কদফতরের প্রতিরোধ শাখার ইন্সপেক্টর বলাদিত্য বারিককে আগেই বরখাস্ত করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এরপর গতকাল গভীর রাতে গোপন সূত্রের ভিত্তিতে বক্সীগঞ্জ এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে সোনা ব্যবসায়ী পার্থ সাহাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কাস্টমসের অস্থায়ী দুই কর্মীকে গ্রেফতার করেই পার্থ সাহার নাম এসেছে। বিভিন্ন সময় সোনা বাজেয়াপ্তের ঘটনায় তদন্তে ধৃত পার্থ সাহার নামও উঠে আসত। শুল্কদফতর থেকে সোনা উধাওয়ের ঘটনায় সোনার অবৈধ ব্যবসায়ী গ্রেফতার হতেই শোরগোল পড়েছে সীমান্তে। কাস্টমস কর্তাদের ভূমিকাতেও প্রশ্ন উঠেছে৷ স্থলবন্দরে তৃ-স্তরীয় নিরাপত্তা বলেয় মাছি গলতে পারে না কিন্তু কোন আঁতাতে কোটি টাকা সোনা উধাও হয়ে, সেই প্রশ্ন উঠেছে।
এবিষয়ে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, “হিলি সীমান্তকে কেন্দ্র করে এধরনের সোনা পাচারের ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। এসব ব্যক্তিরা গ্রেফতার ফলে সীমান্তে সোনা পাচার কমবে। তবে পুলিশকে আরও সক্রিয় হতে হবে। কেন্দ্র সরকার পুরো বিষয়ের উপর নজর রাখছে।”