TMC Group Clash: তুমুল অশান্তি গঙ্গারামপুরে, তৃণমূল গোষ্ঠী কোন্দলে চলল গুলি-বোমা

Rupak Sarkar | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Sep 11, 2024 | 7:18 PM

TMC Group Clash: এ বিষয়ে নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নুরুল ইসলাম বলেন,"আহত কর্মীকে দেখতে তার বাড়ি গিয়েছিলাম। ফেরার পথে হঠাৎ করেই আমার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয় এবং বোমা ফাটানো হয়। আমি প্রাণ বাঁচাতে আমার এক আত্মীয়র বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেই। পরে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করেছে।"

TMC Group Clash: তুমুল অশান্তি গঙ্গারামপুরে, তৃণমূল গোষ্ঠী কোন্দলে চলল গুলি-বোমা
তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল
Image Credit source: Facebook

Follow Us

গঙ্গারামপুর: তৃণমূলের দু’পক্ষের বচসা। যার জেরে তুমুল অশান্ত গ্রাম। অভিযোগ, দু’পক্ষের বচসার জেরে তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে লক্ষ্য করে চলল গুলি ও বোমা মারার অভিযোগ। পালটা অপর গোষ্ঠীর একজনকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাজিতপুর এলাকায়। এ দিকে, এই ঘটনায় বিকেলেই গঙ্গারামপুর থানায় দুই তরফেই লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগ পেতেই পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ।

জানা গিয়েছে,বাজিতপুর এলাকার তৃণমূল কর্মী ফৈজুল মিঞা মঙ্গলবার সন্ধেয় তৃণমূলের একটি গ্রুপে তৃণমূলের প্রাক্তন শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধে মন্তব্য করেন। এরপরেই ওই তৃণমূল কর্মীকে পার্টি অফিসে নিয়ে গিয়ে মারধর করেন প্রাক্তন শ্রমিক নেতা সহ তাঁর অনুগামীরা বলে অভিযোগ। আহত অবস্থায় বাড়ি পৌঁছন ওই তৃণমূল কর্মী। খবর পেয়ে ওই আহত তৃণমূল নেতার বাড়িতে যান নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান নুরুল ইসলাম। অভিযোগ, নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান ওই কর্মীর বাড়ি থেকে ফেরার সময় রাস্তায় প্রধানকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা ফাটায় অপর তৃণমূল গোষ্ঠী লোকেরা। ঘটনায় অল্পের জন্য রক্ষা পায় পঞ্চায়েত প্রধান। এদিকে এই ঘটনায় সকাল থেকে শোরগোল নন্দনপুর এলাকা জুড়ে। এলাকায় মোতায়ন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।

এ বিষয়ে নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নুরুল ইসলাম বলেন,”আহত কর্মীকে দেখতে তার বাড়ি গিয়েছিলাম। ফেরার পথে হঠাৎ করেই আমার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয় এবং বোমা ফাটানো হয়। আমি প্রাণ বাঁচাতে আমার এক আত্মীয়র বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেই। পরে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করেছে।”

অন্যদিকে তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি সুভাষচাকি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তবে তার দাবি যেভাবে ঘটনাকে উপস্থাপন করা হচ্ছে ততটা গম্ভীর বিষয় নয়। পার্টি স্থানীয় নেতৃত্বকে নির্দেশ দিয়েছে নিজেদের মধ্যে বসে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার। বোমা গুলি চলার কোন ঘটনা ওখানে ঘটেনি।

Next Article