বালুরঘাট: পঞ্চায়েতের কাজে তোলাবাজির অভিযোগ শাসক দলের নেতার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, দাবি মতো তোলাবাজির টাকা না দাওয়াই তৃণমূলের মহিলা পঞ্চায়েত প্রধানকে মারধর ও শ্লীলতাহানী। কাঠগড়ায় শাসক দলের অঞ্চল সভাপতি। পাশাপাশি আদিবাসী হওয়ায় জাত তুলে গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠল ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। গতকাল ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার অশোকগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতে। এদিকে গতকালই আক্রান্ত পঞ্চায়েত প্রধান গঙ্গারামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে গেলেও সেটি নেওয়া হয়নি। অবশেষে মঙ্গলবার বিকেলে বালুরঘাটে পুলিশ সুপারের কাছে এনিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন অশোকগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। অভিযোগ পেতেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জেলা পুলিশ প্রশাসন। যদিও, এই ঘটনায় তৃণমূলের কোনও যোগ নেই বলেই জানিয়েছেন দলের জেলা নেতৃত্ব।
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার দুপুরে। মহিলা প্রধান নিজের চেম্বারে অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে উন্নয়নমূলক কাজ ও রাস্তা টেন্ডার নিয়ে সংক্রান্ত আলোচনা করছিলেন। অভিযোগ, ওই সময়েই তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি হরি বোস তাঁর সঙ্গে বৈদুর রহমান, মহাবুর হোসেন, করম আলী, রফিকুল মিয়া, ওয়াজেদ আলীর মতো বেশ কয়েকজন সাঙ্গপাঙ্গকে নিয়ে অফিসের মধ্যে ঢুকে অকথ্য গালিগালাজ করেন। মারধর করেন বলে দাবি পঞ্চায়েত প্রধানের। এমনকী, তার শ্লীলতাতাহানিও করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
প্রধানের দাবি, পঞ্চায়েতের নানা কাজে কাটমানি দিতে হয়। কিন্তু এবারে একেবারে ৫০ শতাংশ ওই কাটমানি দাবি করে বসে অঞ্চল সভাপতি ও তার দলবল। এরই প্রতিবাদ করলে তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলে মহিলা নেত্রীর দাবি। এই ঘটনায় গঙ্গারামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশ কোন পদক্ষেপ না করায় শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে তিনি পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন। অন্যদিকে অশোকগ্রাম অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস চেয়ারম্যান বইজুর রহমান সব অভিযোগ উড়িয়েছেন।
আক্রান্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, “আমি অফিসে গেছিলাম। সেই সময় আরও অনেকে ছিলেন। ওরা আমায় মারধর করেছে। চুল টেনেছে। কাপড় ছিড়ে দিয়েছে।” জেলা তৃণমূল সহ সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, “দল দেখছে বিবেচনা করে কতটা সত্যটা আছে। তবে এই অভিযোগ এলে অবশ্যই খতিয়ে দেখব। কেউ দোষী হলে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”