বালুরঘাট: বুধবার সকাল আটটা থেকে শুরু হয়েছে রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার ফলপ্রকাশ। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ১১ হাজার ২৮০টি বুথে ভোট হয়েছে। এদিকে ফল ঘোষণা শুরু হতেই বিভিন্ন জায়গায় এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। কোথাও আবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা জিতে গিয়েছে শাসকদল। ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গের বালুরঘাটে জিতেছেন মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রর ভাই প্রশান্ত মিত্র।
বর্তমান রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র। তাঁর ভাই প্রশান্ত মিত্র। দুই ভাই একসময় দল বদলে গিয়েছিলেন বিজেপিতে। পরে যদিও ভুল বুঝতে পেরে দলে ফিরে আসেন। ২০১৯ এর ২৪ জুন বিপ্লব মিত্রর সঙ্গে তাঁর ভাই প্রশান্ত মিত্র বিজেপি শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন। এর ঠিক এক বছরের মধ্যেই আবার অগাস্ট মাসে প্রত্যেকে ফেরেন দলে। এর আগে প্রশান্তবাবু চেয়ারম্যান ছিলেন। পরে অনাস্থা প্রস্তাব এনে সরিয়ে ফেলা হয়। তখন গঙ্গারামপুরের চেয়ারম্যান হন অমলেন্দু সরকার। এরপর গঙ্গারামপুর পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর পুরপ্রশাসক করা হয় তাঁকে। এদিন, ফলাফল ঘোষণার পর দেখা যায় গঙ্গারামপুর পুরসভার ৭ নং ওয়ার্ডে ১ হাজার ৫৭৫ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূল এই প্রার্থী।
প্রথম থেকেই তৃণমূলে ছিলেন বিপ্লব মিত্র ও তাঁর ভাই প্রশান্ত মিত্র। কিন্তু ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে তাঁদের। তখন সিদ্ধান্ত নেন দুই ভাই যোগ দেবেন পদ্মশিবিরে। কিন্তু সেখানে গিয়েও বেশিদিন থাকতে পারেননি। এক বছরের মধ্যেই হয় ঘরওয়াপসি। এরপর বিধানসভা ভোটে পূর্ণ শক্তি দিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়েন বিপ্লব। দাদাকে যথাযথ সঙ্গও দেন তাঁর ভাই প্রশান্ত। এরপর বিধানসভা ভোটে জিতে রাজ্যের জোড়াফুল শিবিরে আরও হাসি চওড়া হয় তাঁর। বর্তমানে হরিরামপুর পুরসভার বিধায়ক ও রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী। অন্যদিকে ভাই প্রশান্ত মিত্র বালুরঘাটের এই ওয়ার্ডে জিতে কাউন্সিলর পদ মোটামুটি পাকা করে নিয়েছেন।