বালুরঘাট: বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভার কাজে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামীর বিরুদ্ধে। কাটমানি চাওয়াতে নাম জড়িয়েছে চার নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের নামও। এমন একটি কাটমানি চাওয়ার কথোপকথনের অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)৷ অডিয়ো ক্লিপে কাটমানি চাওয়া হয় বলে অভিযোগ বিজেপির। যদিও সেই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি টিভি-৯ বাংলা। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বালুরঘাট পুরসভার নয় নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের ছেলের কাটমানি চাওয়ার অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হয়েছিল। এরপর আবার চার নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামীর অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হয়। যা নিয়ে অস্বস্তিতে শাসক শিবির। একাধিকবার কাউন্সিলরকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। এমনকি এদিন বালুরঘাট পুরসভাতে গিয়েও দেখা মেলেনি কাউন্সিলর নিতা নন্দীর।
প্রসঙ্গত, যে অডিয়ো ক্লিপটি ভাইরাল হয়েছে তাতে শোনা যাচ্ছে ঠিকাদারের কাছে দর কষাকষি করছেন কয়েকজন। কাজের জন্য চাওয়া হচ্ছে কাটমানি। ১ লাখ ৫৭ হাজার টাকার কাজের জন্য দিতে হবে ২০% কাটমানি। অন্যদিকে টাকা কমানোর জন্য কাকুতি মিনতি করছে সেই ঠিকাদার। বৃহস্পতিবার রাতের পর শুক্রবার সকাল থেকে এমনই একটি অডিয়ো ক্লিপ ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিজেপির নানা সোশ্যাল মিডিয়ার পেজে তা শেয়ারও করা হয়েছে। বিজেপির দাবি, ওই অডিয়ো ক্লিপটি বালুরঘাট পুরসভার এক মহিলা কাউন্সিলরের স্বামী ও তার অনুগামীদের কথোপকথন। তারাই সেই ঠিকাদারের কাছে কাটমানির দাবি করছে। যদিও বা সেই সত্যতা যাচাই করেনি টিভি নাইন বাংলা। তবে এই ক্লিপ নিয়েই বিতর্ক শুরু হয়েছে বালুরঘাটে।
এদিকে মাসখানেক আগেই বালুরঘাটের আরও এক কাউন্সিলের ছেলের বিরুদ্ধে আবাসের ঘরের জন্য টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এবার আরও এক কাউন্সিলের নাম জড়াল। ওই অডিয়ো ক্লিপে আবার ঠিকাদার নিজেকে তৃণমূল কর্মী বলেও দাবি করেছে। তার কাছেই এমন কাটমানির চাওয়ার ঘটনায় শোরগোল পড়েছে বালুরঘাটে। যদিও তৃণমূলের দাবি, বিজেপি ইচ্ছাকৃতভাবেই তৃণমূল ও পুরসভার বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে।
এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, বালুরঘাট পুরসভার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। নতুন বোর্ড ক্ষমতায় আসার পরই সরকারি নথি পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এবার কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এটা নতুন কিছু নয়। আমরা এ নিয়ে আন্দোলন করব।
অন্যদিকে এ বিষয়ে বালুরঘাট পৌরসভার চেয়ারম্যান অশোক কুমার মিত্র জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। বিজেপি পুরসভারকে কালিমালিপ্ত করার জন্য এমনটা করছে বলে তাঁর মত। তিনি বলেন, আমরা পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছি। প্রয়োজনে এনিয়ে আমরা আইনের দ্বারস্থ হব। তবে যে কথোপকথন হয়েছে সেটাও কাম্য নয় বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান। তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, “বিজেপি এমন অনেক অভিযোগ করে। পুরোটা খতিয়ে দেখা হবে। অভিযোগ সত্যতা প্রমাণিত হলে পরে বিষয়টি দলকে জানানো হবে।”