
বালুরঘাট: মাছ ধরতে গিয়ে ‘অপহৃত’ দুই নাবালক। তাদের অপহরণের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। সোমবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পতিরাম থানার নাজিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাশীপুরে। মাছ ধরার সময় দুই নাবালককে মোটরবাইক করে অপহরণের অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পতিরাম থানার পুলিশ। পৌঁছান ডিএসপি হেড কোয়ার্টার বিক্রম প্রসাদ এবং পতিরাম থানার ওসি সৎকার সাংবো। পরে বালুরঘাট ও হিলি থানার পুলিশও সংলগ্ন এলাকায় তল্লাশি চালায়। ঘটনার প্রায় ৫৫ মিনিটের মধ্যে ওই দুই নাবালককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি অভিযুক্ত মোটরবাইক আরোহী সুমন মাহাতোকে আটক করে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, সুমন নাকি পাশের গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ির রাস্তা চিনিয়ে দেওয়ার জন্য দুই নাবালকের সাহায্য চেয়েছিলেন। তারা সম্মতি দিলে সুমন তাদের বাইকে তুলে নিয়ে যায়। পরে গ্রামবাসীরা বিষয়টি দেখে অপহরণের সন্দেহে হইচই শুরু করে। মুহূর্তের মধ্যেই এলাকায় তোলপাড় পড়ে যায়। উত্তেজিত জনতা সুমনকে ধরে মারধরের চেষ্টা করে। ঠিক সেই সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তকে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া দুই নাবালকের বাড়ি নাজিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামপ্রসাদ এলাকায়। তাদের বয়স যথাক্রমে ১১ ও ১০ বছর। তারা স্থানীয় একটি হাইস্কুলের ক্লাস সিক্স ও ক্লাস ফাইভের ছাত্র। সোমবার দুপুরে বয়রাকুড়ি জোড়াব্রিজ সংলগ্ন নয়নজুলিতে মাছ ধরছিল তারা। ঠিক সেই সময় বালুরঘাটের কুন্ডু কলোনির বাসিন্দা সুমন মাহাতো বাইক নিয়ে এসে তাদের সঙ্গে কথা বলে এবং আত্মীয়ের বাড়ির পথ দেখানোর অনুরোধ করে। গ্রামবাসীরা নাবালকদের সুমনের বাইকে উঠতে দেখেই সন্দেহ করেন এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই অপহরণের খবর ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি এলাকায় পৌঁছে পুলিশ তল্লাশি শুরু করে এবং কাশীপুর এলাকা থেকেই দুই নাবালককে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে। অভিযুক্তকে আটক করে। পুরো ঘটনার সত্যতা যাচাই করে দেখছে পতিরাম থানার পুলিশ।