
কুমারগঞ্জ: একই ব্যক্তির নামে ভারত ও বাংলাদেশের ভোটার কার্ড! ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জে। কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার শনিবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে দু’দেশের পরিচয়পত্রের ছবি শেয়ার করে প্রশ্ন তুলেছেন কীভাবে একজন মানুষের কাছে ভারত ও বাংলাদেশের দুই ধরনের ভোটার কার্ড থাকতে পারে? বিষয়টিকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সুকান্ত মজুমদার এই ঘটনায় এসআইআর জরুরি বলে দাবি করেন এবং সরাসরি রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধেই সরব হয়েছেন।
জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম রাজ্জাক সরকার(৪৫)। পেশায় কৃষক। বাড়ি কুমারগঞ্জ ব্লকের সমজিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তরপাড়া এলাকায়। এই উত্তরপাড়া ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের কাঁটাতারের ওপারে। যা ভারতীয় ভূখন্ডে অবস্থিত। ওই এলাকায় প্রায় ২০০ ভারতীয় পরিবার রয়েছে। এদিকে কাঁটাতারের ওপারে বসবাস করায় বাংলাদেশেও অবাধ যাতায়াত রয়েছে রাজ্জাক বা ওই এলাকার ভারতীয়দের।
এদিকে ভারতীয় ভূখণ্ডে তাঁর বাড়ি হলেও কয়েক বছর আগে তিনি বাংলাদেশে বিয়ে করেন। রাজ্জাকের বাবা আকতাব সরকার স্থানীয় সমজিয়া অঞ্চলের একাধিকবার পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। ভারতের পরিচয়পত্রে তাঁর নাম রয়েছে রাজ্জাক সরকার। অথচ বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় পরিচয়পত্রে তার নাম মহম্মদ আব্দুর রাজ্জাক হিসেবে নথিভুক্ত। কীভাবে একই ব্যক্তি দুই দেশে বৈধ পরিচয়পত্র পেতে পারেন? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে।
ইতিমধ্যেই কুমারগঞ্জ ব্লক প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে। যদিও এনিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে আসতে চায়নি অভিযোগ ওঠা রাজ্জাক সরকার। তাঁর বাড়ি কাঁটাতারের ওপারে হওয়ায় বিএসএফের তরফে সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে রাজ্জাকের দাদা ও দিদির দাবি তাঁরা ভারতীয়। বাংলাদেশে কীভাবে নাম উঠেছে সেটা তারা জানে না। ভাই বাংলাদেশে বিয়ে করলেও তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন ভারতে চলে এসেছে।
রজ্জাকের দিদি আখতারুল বিবি বলেন, “আমার ছোট ভাই হয়। আমার বাবা কৃষিকাজ করত। রেজ্জাকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে শুনেছি, তবে আমরা ভারতের নাগরিক। বাংলাদেশের নাগরিক নই।”