AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

BJP Agitation: দণ্ডি বিতর্কে ময়দানে বিজেপি, এসপি অফিসের সামনে ধরনা

Balurghat: আদিবাসী মোর্চা রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আন্দোলন করবে বলে জানান জুয়েল মুর্মু।

BJP Agitation: দণ্ডি বিতর্কে ময়দানে বিজেপি, এসপি অফিসের সামনে ধরনা
পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে বিক্ষোভ।
| Edited By: | Updated on: Apr 08, 2023 | 3:42 PM
Share

দক্ষিণ দিনাজপুর: প্রায় ১ কিলোমিটার পথ দণ্ডি কেটে এসে তিন মহিলার তৃণমূলে যোগদান ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ওই তিনজনই আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ। বিজেপি (BJP) এই বিষয়টিকে সামনে রেখেই ময়দানে নেমেছে শনিবার। বালুরঘাটে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। শনিবার দুপুর দেড়টার পর বালুরঘাটে পুলিশসুপারের দফতরে যায় বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি এসটি মোর্চার রাজ্য সভাপতি জুয়েল মুর্মু, তপনের বিজেপি বিধায়ক বুধরাই টুডু, বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী-সহ অন্যান্য নেতারা সেখানে ছিলেন। পুলিশ সুপারের কার্যালয় অভিযান ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। যে মহিলারা দণ্ডি কেটে তৃণমূলের কার্যালয়ে গিয়ে যোগদান করেছিলেন, তাঁদের লুকিয়ে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন জুয়েল মুর্মু। আসল ঘটনা সামনে আনার দাবি তোলেন তিনি।

সুপারের কার্যালয়ে অভিযানের আগে বালুরঘাটে প্রতিবাদ মিছিল করা হয়। এদিকে সেই মিছিল জেলা সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের সামনে আসতেই ব্যারিকেড দিয়ে মিছিল আটকানোর চেষ্টা করে পুলিশ। অভিযোগ, সেই ব্যারিকেড ভেঙে সামনের দিকে এগিয়ে যান বিজেপি কর্মীরা। তবে দ্বিতীয় ব্যারিকেডে পুলিশ আটকে দেয় আন্দোলনকারীদের। পুলিশ বাধা দিলে রাস্তার উপরই বসে পড়েন বিজেপি নেতৃত্ব। এই প্রতিবাদ কর্মসূচিকে ঘিরে বিশাল পুলিশ মোতায়েন করা হয় বালুরঘাট পুলিশ অফিসের সামনে।

জুয়েল মুর্মু বলেন, “রাজ্যে যেভাবে শাসকদল সরকার চালাচ্ছে, আদিবাসী মহিলাদের উপর যে অত্যাচার হল, জোর করে তৃণমূলে যোগদান করানো হল, তাঁদের ভয় দেখানো হল, আমরা চাই আসল ঘটনা প্রকাশ্যে আসুক। যতক্ষণ না তা সামনে আসছে আদিবাসী মোর্চা রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আন্দোলন করবে। আজ পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে এসেছি। বসে থাকব। দোষীদের গ্রেফতার করতেই হবে।”

এই ঘটনা নিয়ে রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “কখনওই এই ধরনের ঘটনাকে সমর্থন করি না। তীব্র নিন্দা জানাই। আমারও দক্ষিণ দিনাজপুরের সভানেত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। এই ধরনের ঘটনা ওখানে ঘটার জন্য তাঁকে ভর্ৎসনাও করেছি।” তবে এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র কথায় তৈরি আরেক বিতর্ক টেনে আনেন চন্দ্রিমা। বলেন, “বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও কিন্তু মহিলাদের অসম্মানিত করেছেনতিনি বলেছেন যে মহিলারা নোংরা জামা কাপড় পরে যাঁরা আসেন, তাঁরা সূর্পনখা। বিজেপি নেতৃত্ব কি এ নিয়ে কিছু বলেছে? এখনও তো শুনিনি।”

প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে দক্ষিণ দিনাজপুর মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর হাত ধরেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন ওই মহিলারা। প্রদীপ্তার বক্তব্য ছিল, “তপনের ১১ নম্বর গোফানগর অঞ্চলের সাধারণ মানুষকে নিয়ে গিয়ে বিজেপি ভুল বুঝিয়ে পতাকা তুলে দিয়েছিল। সেই মহিলারাই ভুল বুঝতে পেরে প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য বিবেক দংশনে বালুরঘাট কোর্ট মোড় থেকে দণ্ডি কাটতে কাটতে জেলা পার্টি অফিসে এসেছেন।”