Gangarampur: প্রেমিকার ফোন পেয়ে গোয়া থেকে ফেরেন যুবক, তখনও বোঝেননি ফাঁদ কতটা গভীরে পাতা…
Dakkhin Dinajpur: শিবশঙ্করের পরিবার সূত্রে খবর, বহুদিন আগেই পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছিলেন তাঁদের ছেলে। বছরখানেক আগে পাশের গ্রামেরই এক তরুণীর প্রেমে পড়েন।
দক্ষিণ দিনাজপুর: গোয়া থেকে এক যুবককে ডেকে এনে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠল প্রেমিকা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে। গঙ্গারামপুরে রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার হয় ওই যুবকের দেহ। অভিযোগ, ভিন রাজ্য থেকে দিন তিনেক আগে প্রেমিকার ডাকে ফিরতে বাধ্য হন তপন থানার কসবা বাটুইরের শিবশঙ্কর রায় (১৮)। বৃহস্পতিবার রাতে গঙ্গারামপুর থানার লক্ষ্মীতলা এলাকায় রেললাইন থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ ও রেল পুলিশের অনুমান, ট্রেনের ধাক্কাতেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। শিবশঙ্করের পরিবারের দাবি, তাদের ছেলের সঙ্গে একটি মেয়ের সম্পর্ক ছিল। সেই মেয়ে ও মেয়ের পরিবারের লোকজনই হুমকি দিচ্ছিলেন তাঁদের ছেলেকে। এরপরই এই ঘটনা। মৃতদেহের পাশ মোবাইল ও প্রেমিকার ছবি উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ নিহতের পরিবার জানিয়েছে, তারা থানায় অভিযোগ জানাতে চলেছে। অভিযোগ পেলে পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ৷
শিবশঙ্করের পরিবার সূত্রে খবর, বহুদিন আগেই পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছিলেন তাঁদের ছেলে। বছরখানেক আগে পাশের গ্রামেরই এক তরুণীর প্রেমে পড়েন। শিবশঙ্করের পরিবারের দাবি, সেই সম্পর্কে দু’জনেরই সম্মতি ছিল। বিয়ে অবধি গড়ানোরও কথা ছিল। এরইমধ্যে হঠাৎ মেয়েটির জামাইবাবু শিবশঙ্করকে হুমকি দেন বলে অভিযোগ। ভয়ে শিবশঙ্কর এই সম্পর্ক থেকে সরে যেতে চান। গোয়ায় চলে যান কাজ নিয়ে।
অভিযোগ, সেখানে কাজ করতে গেলেও নানাভাবে ভয় ও হুমকি দিতে থাকে ওই তরুণী ও তাঁর পরিবার। অবশেষে প্রেমিকার ডাকে গত রবিবারই বাড়ি আসেন শিবশঙ্কর। এরপর গতকাল ওই মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে যান। সেখানেও তাঁকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হয়। এরপরই রেললাইনের ধার থেকে মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার হয় শিবশঙ্করের।
এ বিষয়ে মৃতের বাবা গোকুল রায় বলেন, “ছেলের একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। কিন্তু নানাভাবে বিয়ে করার জন্য হুমকি দিত মেয়ে ও তাঁর পরিবার। ছেলের তখনও ১৮ বছর হয়নি৷ কী করে বিয়ে সম্ভব। এছাড়া যেভাবে হুমকি দেওয়া হত সেই জায়গা থেকে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছিল সে। গোয়াতেও কাজে গেছিল। কিন্তু ওই মেয়েটি তাঁকে ডেকে আনে রবিবার।”
অন্যদিকে মৃতের দাদু গোপাল রায় বলেন, “আমাকে নাতি বলেছিল একটা মেয়ের সঙ্গে ভালবাসা আছে। আমি আবার বললাম, এখন বয়স কম। এসব করিস না। একদিন রাতে মেয়েটার জামাইবাবু নাতিটাকে হুমকি দিয়েছে। বলছে, ‘মারব, কাটব, গুলি করব’। সেই রাতেই আমার বাড়িতে আসে। তখন বুঝিয়ে বলেছিলাম, এসব করতে না। আমাকেও বলেছিল, এসব আর করবে না। এরইমধ্যে দুই ভাই গোয়ায় চলে গেল। এরপর যে কী হল কিছুই তো বুঝলাম না। মেয়েটা ওকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে এসেছে এটুকু জানি। আমরা থানায় যাব। এর বিচার চাই।” যদিও এ নিয়ে অভিযুক্তের পরিবারের তরফে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।