Balurghat: আর কিছু সময় পরেই চিতায় জ্বলত আগুন! তার আগেই দেহ নিয়ে সোজা মর্গে চলে গেল পুলিশ

Balurghat News: পুলিশ সূত্রে খবর, শম্ভু সরকারের বাড়ি গঙ্গারামপুর থানার বেলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের মাশনাতলা এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে দীর্ঘদিন থেকেই তিনি শারীরিক অসুস্থায় ভুগছিলেন। থাকছিলেন বালুরঘাট থানার তুলসীপুরে জামাইয়ের বাড়িতে। পরিবার সূত্রে খবর, তাঁর দুটি কিডনিই বিকল হয়ে গিয়েছিল।

Balurghat: আর কিছু সময় পরেই চিতায় জ্বলত আগুন! তার আগেই দেহ নিয়ে সোজা মর্গে চলে গেল পুলিশ
চাপানউতোর এলাকায় Image Credit source: TV 9 Bangla

| Edited By: জয়দীপ দাস

Dec 17, 2025 | 9:42 AM

বালুরঘাট: পরিবারের দাবি ছিল শারীরিক অসুস্থতার কারণেই মৃত্যু। দেহ সৎকার করতে গিয়ে শ্মশানে শোরগোল। দানা বাঁধল রহস্য। সোমবার রাতে বালুরঘাট পুরসভার খিদিরপুর শ্মশানে নিয়ে আসা হয় ৫০ বছরের শম্ভু সরকারের দেহ। কিছু সময়ের মধ্য়েই শুরু হয়ে যায় দাহের প্রস্তুতি। আর তখনবই পুরসভার কর্মীদের চোখে পড়ে মৃতের গলায় দাগ। যা নিয়ে শ্মশানের মধ্যেও চাপানউতোর হয়। কিছু সময়ের মধ্যেই খবর চলে যায় পুরসভায়, খবর যায় বালুরঘাট থানাতেও। 

খবর পাওয়ার কিছু সময়ের মধ্যেই ঘটনাস্থলে চলে আসে পুলিশ। সৎকার বন্ধ করে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়। মঙ্গলবার দেহটি ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে বালুরঘাট থানার পুলিশ। তবে এনিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে। 

পুলিশ সূত্রে খবর, শম্ভু সরকারের বাড়ি গঙ্গারামপুর থানার বেলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের মাশনাতলা এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে দীর্ঘদিন থেকেই তিনি শারীরিক অসুস্থায় ভুগছিলেন। থাকছিলেন বালুরঘাট থানার তুলসীপুরে জামাইয়ের বাড়িতে। পরিবার সূত্রে খবর, তাঁর দুটি কিডনিই বিকল হয়ে গিয়েছিল। গোটা শরীরে ঘা হয়ে যাওয়ার কারণে কষ্টও পাচ্ছিলেন। সোমবার সন্ধ্যায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করার কথাও ছিল। কিন্তু তার আগে বাড়িতেই মৃত্যু। তারপরই সৎকারের তোড়জোড় শুরু করে পরিবারের সদস্যরা। যদিও অন্য এক সূত্রের দাহি, বাড়িতেই তিনি গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ দফায় দফায় বৃদ্ধের জামাইয়ের বাড়িতে গিয়ে তদন্ত করছে। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। যদিও মৃতের স্ত্রী ও জামাইয়ের সাফ কথা, আত্মহত্যার বিষয় তাঁদের জানা নেই। এরকম কিছুই নজরে আসেনি। মৃতের জামাই বলছেন, “আমরা বাইরে ছিলাম। বাড়িতে গিয়ে দেখলাম মৃত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছে। শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার পর ওখানকার লোকজন সন্দেহ করে গলায় ফাঁস দিয়েছে। তারপরই সৎকার আটকে দেয়। আমাদের নজরে এরকম কিছুই যদিও আসেনি। আমরা তো ওনাকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে চোখে-মুখে জলও দিয়েছিলাম। কিন্তু কিছু দেখতে পাইনি।”  

এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল বলেন, “দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ স্পষ্ট হবে। পুলিশ গোটা বিষয়টিকেই যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।”  গোটা ঘটনায় হতবার শম্ভু সরকারের প্রতিবেশীরাও। এলাকায় যথেষ্ট চাপানউতোর রয়েছে।