
শিলিগুড়ি: বাবার নাম রামকৃষ্ণ, মা সারদামণি। রামকৃষ্ণ বেদান্ত আশ্রমের মহারাজ রাঘবানমদ পুরিকে তলব এসআইআর-এর শুনানিতে। তাতেই চাপানউতোর রাজনৈতিক মহলে। সরব শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। তৃণমূল নেতারই এদিন মহারাজকে নিয়ে মহকুমা শাসকের দফতরে শুনানিতে নিয়ে আসেন। যদিও শুনানিতে ডাক পাওয়ায় খানিক বিরক্তই মহারাজ। তিনি বলছেন, আমি ধর্মে দিক্ষিত। আমার পাসপোর্ট থেকে সবেতেই বাবা মায়ের নাম এভাবেই আছে। আমরা সন্ন্যাসী। আগের নাম ব্যবহার করব না। নাম কেটে দিলে দেবে। তিনি আরও বলছেন, “সন্ন্যাসীদের ইষ্টদেব শ্রী রামকৃষ্ণ। সেই কারণেই তাঁর নাম আমি বলব। সব ডকুমেন্টেই এটা করা আছে। আমরা সন্ন্যাসী হয়ে গেলে আমাদের ডকুমেন্ট এভাবেই করা হয়। আমি ২০০২ সালে শিলিগুড়িতে এসেছি। তারপর থেকে আমি ডকুমেন্টগুলি তৈরি করেছি। ভোটও দিয়েছে বেশ কয়েকবার।”
অন্যদিকে এদিন শুনানি চলাকালীন সময়ে শিলিগুড়ি বয়েজ হাইস্কুল ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়েন মেয়র গৌতম দেব। পুলিশ তাকে বাধা দেয়নি। দলের কাউন্সিলরদের নিয়েই ওই শুনানি কেন্দ্র ঘুরে দেখেন তিনি। তবে যে ঘরে শুনানি চলছিল সেখানে অবশ্য ঢোকেননি তিনি। সেখানেই রাঘবানমদ পুরিকে ডাকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। গৌতম দেব বলেন, ওরা মহারাজকেও ছাড়ছে না। শুনানিতে ডাকছে। বাংলা এর জবাব দেবে।
গৌতম দেব আরও বলেন, “মহারাজদের একটা পরম্পরা আছে। তাঁরা যখন সন্ন্যাস নেন তখন তাঁরা আগের জন্ম থেকে বেরিয়ে এসে নতুনভাবে দীক্ষিত হন। তখন তাঁদের মা বাবার নামও সেইভাবেই দেন। এই সাধু-সন্ন্যাসীরাই আমাদের পথ প্রদর্শক। এখন তাঁদের ভোটার লিস্টে নাম থাকবে না, তাঁদের যেভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে তা বাংলা মানবে না। বাংলা আধ্যাত্বিকতার দেশ, স্বামীজির দেশ, রামকৃষ্ণ পরমহংসের দেশ। এটা সাধকদের জায়গা। তাঁদের এভাবে হেনস্থা বাংলা মানবে না।”