Bangladesh: সাবধান হবে ভারত? ‘উনি জানেন কোন নেটওয়ার্কে IED চার্জ করতে হয়…!’ মিলল ঘোর অশনি সঙ্কেত
Bangladesh: বিজেপি নেতা ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। আর হিন্দু সংগঠনের তরফেও এল আরেক ভয়ঙ্কর ব্যাখ্যা। বাংলাকে ঠিক কীভাবে দখল করতে পারে বাংলাদেশ, সে যুক্তিও খাড়া করেছেন তাঁরা।
শিলিগুড়ি: বাংলার ভূখণ্ড দখলের ডাক দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনাকর্মী। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই মিম বয়ে গিয়েছে বাংলায়। কীভাবে বাংলাকে দখল করবে বাংলাদেশ, তা নিয়েও সামাজিক মাধ্য়মে একধিক কার্টুন ছেয়ে গিয়েছে। নেটিজেনরা কৌতুক করেছেন। কিন্তু এই হুঁশিয়ারি যে একেবারেই অবহেলার নয়, তাও মনে করছেন একাংশ। বিজেপি নেতা ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। আর হিন্দু সংগঠনের তরফেও এল আরেক ভয়ঙ্কর ব্যাখ্যা। বাংলাকে ঠিক কীভাবে দখল করতে পারে বাংলাদেশ, সে যুক্তিও খাড়া করেছেন তাঁরা।
হিন্দু সংগঠনের বক্তব্য, “মোটেও এটা হাসির বিষয় নয়। যিনি কলকাতা দখলের ডাক দিয়েছিলেন, তিনি সাধারণ নাগরিক নন, বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনাকর্তা, তাই আইইডি (Improvised Explosive Devices) কোথায় চার্জ করতে হয়, কোন নেটওয়ার্ক কাজে লাগাতে হয় ভালো জানেন, আর্মস হ্যান্ডেলিংয়ে তিনি পোক্ত। কে নিশ্চিত করতে পারে, চিকিৎসার নাম করে এসে জঙ্গি কার্যকলাপে লিপ্ত হবেন না!” এই বিষয়টি প্রশাসনকে গুরুত্ব দিয়ে দেখার আবেদন জানিয়েছে তারা।
উদাহরণ দিয়ে হিন্দু সংগঠনের এক সদস্য বলেন, “২০২০ সালে JMBর জঙ্গি ধরা পড়েছে, ২০২১ সালে JMB-র জঙ্গি ধরা পড়েছে, বাংলাদেশের জেহাদি সংগঠন এখানে মাকড়সার জালের মতো ছড়াচ্ছে। শুধু ওরা বর্ডার পার করে ঢুকবে, আর্মস সংগ্রহ করবে, হিট করে দিয়ে চলে যাবে।”
বাংলাদেশের কীভাবে হিন্দু নিপীড়িত হয়, তার রিপোর্ট তুলে ধরেন তিনি। বলেন, ” তিন দিনের রিপোর্টেই গোটাটা স্পষ্ট। কীভাবে বাংলাদেশের নরসিন্ধীর মানিকগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ফরদিপুর, টাঙ্গাইল-সহ একাধিক জায়গায় বেছে বেছে হিন্দুদের বাড়ি ঘরে আক্রমণ করা হয়েছে। সুন্দরী হিন্দু নারীদের তুলে নিয়ে যাওয়া চলছে। এই কার্যকলাপ ওখানে নিরন্তর নিরবিচ্ছিন্নভাবে চলে আসছে।”
বাংলাদেশ থেকে আগত রোগীদেরও যাতে বাংলার নার্সিংহোমে পরিষেবা না দেওয়া হয়, তার আবেদন জানান তিনি। হিন্দু সংগঠনের বক্তব্য, “আমাদের একটা দাবি রয়েছে, বাংলাদেশ থেকে আগত, মুসলিম রোগীরা চিকিৎসার নামে আসছেন, তাঁদের সর্বরকম চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া বন্ধ রাখতে হবে।” কারণ চিকিৎসা পরিষেবা নেওয়ার নামে কোনও অসৎ উদ্দেশ্যেও কেউ ভারতে ঢুকতে পারে, সন্ধিহান বাংলা।