SIR in Bengal: নামে মিল দেখেই SIR ফর্ম পূরণের ছক বাংলাদেশি নাগরিকদের, প্রশাসনের দ্বারস্থ নবতিপর বৃদ্ধা

Bangladeshi Nationals voter card: বৃদ্ধার নাতি বিপ্লব বিশ্বাস বলেন, "আমার ঠাকুমার নাম এবং ভোটার কার্ড নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে জেনেই আমি প্রশাসনের কাছে গিয়েছি। আমার বাবা অর্থাৎ জগৎতারার ছেলে রূপচাঁদ বিশ্বাস টাকা নিয়ে ঠাকুমা ও ঠাকুর্দার এপিক কার্ড দিয়েছেন বাংলাদেশি নাগরিকদের। তাঁরা সেসব ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে এসে এদেশে নাম তুলে নিয়েছেন।"

SIR in Bengal: নামে মিল দেখেই SIR ফর্ম পূরণের ছক বাংলাদেশি নাগরিকদের, প্রশাসনের দ্বারস্থ নবতিপর বৃদ্ধা
জগৎতারা বিশ্বাসImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Nov 28, 2025 | 4:55 PM

শিলিগুড়ি: বাংলাদেশ থেকে চোরাপথে ভারতে এসেছেন। আর ভারতীয় দম্পতির সঙ্গে নিজের বাবা-মার নামের মিল দেখেই ফন্দি আঁটেন। ভারতীয় দম্পতির ভোটার কার্ড ব্যবহার করে বাবা-মা সাজিয়ে পরিচয়পত্র তৈরি করে ফেলেন বাংলাদেশি নাগরিকএমনকি, অভিযুক্তের ছেলেও ঠাকুমা হিসেবে ভারতীয় ওই মহিলাকে দেখিয়েই এবার SIR ফর্ম ভরেছেন। গোটা ঘটনা জেনে প্রশাসনের দ্বারস্থ ভারতীয় নাগরিক ৯২ বছরের এক বৃদ্ধা। ঘটনাটি শিলিগুড়ির।

শিলিগুড়ির কাওয়াখালি এলাকায় থাকেন সুবোধ বিশ্বাস এবং তাঁর ছেলে তাপস বিশ্বাস। ২০০২ ভোটার তালিকায় নাম না থাকায় SIR ফর্মে সুবোধ মা হিসেবে দেখিয়েছেন ৯২ বছরের বৃদ্ধা জগৎতারাকে। আর বাবা হিসেবে নাম রয়েছে প্রয়াত রাজেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের। আবার সুবোধের ছেলে তাপস ঠাকুমা হিসেবে জগৎতারার নাম এবং এপিক নম্বর ব্যবহার করেছেন।

যদিও শান্তি পাড়ার বাসিন্দা জগৎতারার দাবি, সুবোধ বিশ্বাস ও তাপস বিশ্বাসকে তিনি চেনেন না। তিনি বলেন, “আমার দুই ছেলে। কে সুবোধ এবং কে তাপস আমি চিনি না।” বৃদ্ধার নাতি বিপ্লব বিশ্বাস বলেন, “আমার ঠাকুমার নাম এবং ভোটার কার্ড নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে জেনেই আমি প্রশাসনের কাছে গিয়েছি। আমার বাবা অর্থাৎ জগৎতারার ছেলে রূপচাঁদ বিশ্বাস টাকা নিয়ে ঠাকুমা ও ঠাকুর্দার এপিক কার্ড দিয়েছেন বাংলাদেশি নাগরিকদের। তাঁরা সেসব ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে এসে এদেশে নাম তুলে নিয়েছেন।”

অভিযুক্ত সুবোধ মেনে নিয়েছেন, জগৎতারা তাঁর মা নন। সুবোধের দাবি, জগৎতারা তাঁর মামিমা। ২০১১-১২ সালে বাংলাদেশ থেকে এসে বসবাস শুরু করেন শিলিগুড়িতে। বাংলাদেশে সুবোধের বাবার নামও রাজেন্দ্রনাথ বিশ্বাস। এখানে আসার পর নামের মিল থাকায় মৃত রাজেন্দ্রনাথের এপিক কার্ড ব্যবহার করে ভোটার কার্ড তৈরি করেছেন। আর এসআইআর ফর্মে ‘ভয়ে’ জগৎতারাকে মা হিসেবে দেখিয়েছেন বলে দাবি করেন। একইসঙ্গে তাঁর যুক্তি, “মা না হলেও তো জগৎতারা আমার নিজের মানুষ।”