
শিলিগুড়ি: সরকারি চাকরি নেই, বেসরকারি চাকরীর ক্ষেত্রেও ভিন রাজ্যে ছুটছেন বাংলার যুবক-যুবতীরা। চাকরির সঙ্কট নিয়ে নানা স্তরে রয়েছে চাপানউতোর চলছেই। সামনেই আবার বিধানসভা ভোট। তার আগে জেন জ়ি-কে কাছে টানতে বড় উদ্যোগ পদ্ম শিবিরের। সপ্তাহান্তে শিলিগুড়িতে হয়ে গেল রোজগার মেলা। শিলিগুড়িতে এল দেশের প্রায় ৬০টি নামজাদা বেসরকারি সংস্থা। ঢল নামল চাকরিপ্রার্থীদের। নেপথ্যে থেকে কাজ করলেন রাজ্যসভার সাংসদ ও দার্জিলিং ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের সভাপতি হর্ষবর্ধন শ্রীংলা। ছিলেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির বিধায়ক-সাংসদরাও।
শনিবার থেকে শুরু হওয়া এই জব ফেয়ার চলবে রবিবার পর্যন্ত। সূত্রের খবর, রবিবার এই মেলায় আসতে পারেন খোজ রাজ্যপাল। মেলাতেই রয়েছে স্পট ইন্টারভিউয়ের ব্যবস্থা। সেখানেই পেশাদারদের খুঁজে নিয়ে নিয়োগ করবে দেশের একাধিক নামী সংস্থা। ইন্টারভিউয়েক লাইনে দাঁড়িয়েই রাজ্যে চাকরির অবস্থা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গেল এক যুবককে। বললেন, “এখন তো রাজ্যে চাকরি পাওয়া খুবই কঠিন। সেখানেই মেলাগুলো কিছুটা হলেও উপকার করছে।”
শর্মিলা সরকার নামে আর এক চাকরিপ্রার্থীরও একই মত। তিনি বলেন, “এখন তো চাকরি পাওয়া খুবই কঠিন। সরকারি চাকরি নেই বললেই চলে। বেসরকারি চাকরি পাওয়াও দিনে দিনে কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এখন রোজগার মেলা হচ্ছে শুনলাম। তাই চাকরির খোঁজেই মেলাতে এসেছি।” তবে গোটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পেরে উচ্ছ্বসিত হর্ষবর্ধন শ্রীংলাও। তিনি বলছেন, “সমাজের যুব সমাজের হাত যাতে শক্ত হয় সে কারণেই এই উদ্য়োগ নেওয়া হয়েছে। সকলের যাতে চাকরির রাস্তা সুগম হয় সেই চেষ্টা আমরা করেছি। প্রচুর ছেলেমেয়ে এসেছিল। প্রায় ৬০টি খ্যাতনামা সংস্থা এসেছিল। ১০ হাজারের বেশি চাকরির অফার তাঁরা দিয়েছে। এই পুরো পর্বে আরএসএসের বরিষ্ঠ নেতা রামলালজি ছিলেন, ওনার সঙ্গে শমীক ভট্টাচার্যও ছিলেন।”