
শিলিগুড়ি: চলতি বছরের অগস্টের কথা। শিলিগুড়ির নকশালবাড়ি এলাকায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল স্থানীয় এক বাসিন্দার বিরুদ্ধে। পুলিশে অভিযোগ জমা পড়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তড়িঘড়ি পদক্ষেপও করেছিল পুলিশ। পাকড়াও করা হয়েছিল অভিযুক্তদের। বর্তমানে ওই অভিযুক্ত জেল হেফাজতে রয়েছে। এদিকে ওই ঘটনার পর নির্যাতিতা নাবালিকাকে একটি হোমে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। সেই সময় থেকে শিলিগুড়িতে সিডব্লুসি অনুমোদিত ওই হোমেই থাকছিল নির্যাতিতা নাবালিকা। এরপর বুধবার সকালে সেই হোমের বাথরুম থেকে উদ্ধার হয় নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ।
বুধবারের এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চায়নি হোম কর্তৃপক্ষ। তবে শিলিগুড়ির ওই হোম সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার ভোরের দিকে। আজ সকালে হোমের বাথরুম থেকে ওই নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয় বলেই ওই হোম সূত্রে দাবি করা হচ্ছে। এদিকে বিষয়টি নিয়ে এখনই বিস্তারিতভাবে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ সিডব্লুসি কর্তৃপক্ষ। তবে সিডব্লুসি থেকে জানানো হয়েছে, কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তার উপযুক্ত তদন্ত করা হবে এবং দ্রুত এই বিষয়ে জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট পাঠানো হবে।
এদিকে বুধবারের ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। নাবালিকার অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে একাধিক প্রশ্নও ঘনাতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে হোমের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েও। আত্মহত্যা? নাকি নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ? তা নিয়েও প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে। এদিকে গোটা ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে শিলিগুড়ি থানার পুলিশ। নাবালিকার দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর কারণ কিছুটা স্পষ্ট হবে বলে মনে করছেন তদন্তকারী অফিসাররা।