Mamata Banerjee: ‘ডায়াবেটিসটা বেশি, অবস্থা স্থিতিশীল’, নাগরাকাটায় আক্রান্ত খগেন মুর্মুকে দেখতে হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রী

Mamata Banerjee Visit Khagen Murmu: হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এসে মুখ্যমন্ত্রী জানান, "খগেনের সঙ্গে কথা হয়েছে, অবস্থা স্থিতিশীল। খগেন মুর্মুর দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।" চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে তিনি জানান, খগেন মুর্মুর ডায়াবেটিস রয়েছে, তার মাত্রাও বেশি। সেই দিকটা নজর রাখছেন চিকিৎসকরা। কানের নীচেও কিছুটা লেগেছে বলে জানান তিনি।

Mamata Banerjee: ডায়াবেটিসটা বেশি, অবস্থা স্থিতিশীল, নাগরাকাটায় আক্রান্ত খগেন মুর্মুকে দেখতে হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রী
খগেন মুর্মুকে দেখতে হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রীImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Oct 07, 2025 | 3:33 PM

শিলিগুড়ি: নাগরাকাটায় আক্রান্ত বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুকে দেখতে হাসপাতালে পৌঁছে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মুহূর্তে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খগেন মুর্মু। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এসে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “খগেনের সঙ্গে কথা হয়েছে, অবস্থা স্থিতিশীল। খগেন মুর্মুর দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।” চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে তিনি জানান, খগেন মুর্মুর ডায়াবেটিস রয়েছে, তার মাত্রাও বেশি। সেই দিকটা নজর রাখছেন চিকিৎসকরা। কানের নীচেও কিছুটা লেগেছে বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার দুধিয়ায় ত্রাণ শিবিরে দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করেন মমতা। সেখান থেকে তাঁর মিরিক যাওয়ার কথা। তার আগেই পৌঁছে যান খগেন মুর্মুকে দেখতে।  সোমবার নাগরাকাটায় দুর্গত এলাকায় গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ।  বামনডাঙায় ঢোকার আগে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁদের। অতর্কিতে তাঁদের গাড়ি লক্ষ্য করে লাঠি, জুতো নিয়ে চড়াও হন অনেকে। গাড়ির পিছনের সিট থেকে নেমে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন খগেন মুর্মু। তখনই অতর্কিতে বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইট এসে লাগে তাঁর চোখের নীচে।

চোখের নীচে গুরুতর আহত হন খগেন। রক্তাক্ত হন তিনি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, চোখের নীচের হাড় ভেঙে গিয়েছে তাঁর।  হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, অস্ত্রোপচার করে মুখে পাত বসানো হতে পারে সাংসদের। পুত্র অনিমেশ মুর্মুর সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা হয়েছে চিকিৎসকদের। খগেন মুর্মু চোখের ঠিক নীচ থেকে নাকের নীচে পর্যন্ত বড় আঘাত। ভেঙেছে হাড়। সাতটা সেলাই পড়েছে। প্রথমে পাঁচটা সেলাই দেওয়া হয়। পরে অবস্থা বুঝে আরও  দুটো সেলাই দেন চিকিৎসকরা। অস্ত্রোপচার করে পাত লাগানো জরুরি। অন্তত দিন পনেরো কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে সাংসদকে।

যদিও মুখ্য়মন্ত্রীর যাওয়ার বিষয়টিতে খগেন মুর্মুর ছেলে অনিমেষ বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী না জানিয়ে হঠাৎ করে চলে এসেছেন। ওনার সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছে নেই। ওনার লোকজনই তো হামলা চালিয়েছে।”

অন্যদিকে, এই নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “নিজের ফেস সেভ করতে গিয়েছেন। সাংসদের ওপর রক্তাক্ত হামলা হয়েছে, এটা ভারতে বিরল। আর তারপরও ২৪ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে, উনি পুলিশমন্ত্রী, ওনার পুলিশ একজনকেও গ্রেফতার করতে পারেননি। ওনাকে মুখ রক্ষা করতে হবে, তাই গিয়েছেন।”

বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বাংলায় এটা অস্বাভাবিক ঘটনা, কিন্তু সাংসদ আহত হলে মুখ্যমন্ত্রীর যাওয়া স্বাভাবিক ঘটনা! এটাকে অস্বাভাবিকত্ব নেই।”