
মিরিক: আগে শোনা গিয়েছিল সফরসূচিতে বদল হয়েছে, মিরিকে যাচ্ছেন না। কিন্তু আচমকা শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদল। সেই মিরিকেই ফের দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে। ধসে সব হারানো পরিবারের সঙ্গে কথাও বললেন। বাড়িতে ঢুকে খোঁজখবর নেন। কোন কোন বাড়ি বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে, কারা মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিজনরা কেমন আছেন সব বিষয়েই বিশদে খোঁজখবর নেন। প্রথম কর্মসূচি হিসাবে সুখিয়াপোখড়ির ত্রাণ শিবির মুখ্যমন্ত্রীর যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও সেখানে না ঢুকে নেপাল সীমান্তের পশুপতি বাজার হয়ে সোজা মিরিকে চলে আসেন।
এই মিরিকেই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কবলে পড়ে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছিল। এদিন একদম লেকের কাছে সেই বাড়িতে চলে যান মুখ্যমন্ত্রী। পরিবারের সদস্যদের হাতে ত্রাণ তুলে দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের আরও কিছু প্রয়োজন আছে কিনা সে বিষয়েও খোঁজখবর নেন।
তবে মমতা গোটা এলাকা ঘুরে দেখার পর জানিয়ে দেন যে সমস্ত জায়গাগুলিতে ধস নেমেছিল সেখানে উদ্ধার কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলার পরেই চলে যান মিরিক বাজারের দিকে। প্রকৃতির রুদ্ররোষে সেখানেও একাধিক এলাকায় ভালরকম ক্ষতক্ষতির ছবি ইতিমধ্যেই সামনে এসেছিব। সেখানে গিয়েছেন তিনি। এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাও বলেন মমতা।
তবে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কটাক্ষের সুরেই বলছেন, “উনি মাঝেমাঝেই দার্জিলিংয়ে যান, চা বাগানে যান, ছবি তোলেন। বছরে দু-একবার ডুয়ার্সে, পাহাড়ি এলাকায় ট্যুরে যান মন ঠিক করতে। সেই জন্যই এবারও গিয়েছেন, বন্যা দেখা তার উদ্দেশ্য নয়।”