Siliguri TMC: ঢাক-ঢোল নিয়ে সাতসকালে শহরের রাস্তায় তৃণমূল, ব্যাপারটা কী?

Aug 22, 2022 | 11:38 AM

Siliguri: সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়ালি বৈঠক করবেন রাজ্যের দুর্গাপুজো কমিটিকে নিয়ে। সেখানে তিনি কতটা দরাজ হবেন তা নিয়ে চর্চা বিভিন্ন মহলে।

Siliguri TMC: ঢাক-ঢোল নিয়ে সাতসকালে শহরের রাস্তায় তৃণমূল, ব্যাপারটা কী?
বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা তৃণমূলের (নিজস্ব ছবি)

Follow Us

শিলিগুড়ি: ক্যালেন্ডার বলছে আর কয়েকটা মাত্র দিন বাকি। শারদোৎসবে মুখরিত হওয়া বাংলা এবার স্রেফ দুর্গাপুজো নয়, আয়োজন করবে ‘ইনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ দুর্গা পুজোর’। তাই ইতিমধ্যেই তোড়জোড় শুরু হয়েছে শিলিগুড়ির পুজো উদ্যোক্তাদের মধ্যে। সোমবার শাসক দল তৃণমূলের তরফে আয়োজিত ট্যাবলো আর ঢাকের সারি শহরবাসীকে যেন খুঁটি পুজো করে জানান দিল ‘মা আসছেন…’

সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়ালি বৈঠক করবেন রাজ্যের দুর্গাপুজো কমিটিকে নিয়ে। সেখানে তিনি কতটা দরাজ হবেন তা নিয়ে চর্চা বিভিন্ন মহলে। বিশেষত আগামী বছর পঞ্চায়েত ভোটের আগে তাঁর অনুদান নিয়েই সেই জল্পনা। থাকতে পারে বেশ কয়েকটি ঘোষণাও। এ দিকে, সকালের শিলিগুড়িতে তাই উৎসবের মেজাজ। যেখানে দুর্গাপুজোর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিকে নিজেদের সাফল্য বলেই দেখছে শাসক দল। তাই খান পঞ্চাশেক ঢাক, পাঁচ পাঁচটি ট্যাবলো, শঙ্খ ধ্বনি দিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করে তারা।

বাঘাযতীন পার্ক থেকে কোর্ট মোড় পর্যন্ত আয়োজিত এই শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গৌতম দেব, দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ সহ তৃণমূলের জেলাস্তরের নেতৃত্বরা। এ দিন গৌতম দেব বলেন, ‘তৃণমূল আসার পর সর্বতভাবে রাজ্যের পুজোগুলির পাশে দাঁড়িয়েছেন। আর্থিক অনুদান কিংবা রেড রোডের কার্নিভাল, দুর্গাপূজার ব্যাপকতাকে মুখ্যমন্ত্রী তুলে ধরেছেন বিশ্বআঙিনায়। যা আরও ব্যাপকভাবে চিনিয়েছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবকে। আজ মুখ্যমন্ত্রী ভার্চুয়ালি সমস্ত পূজা কমিটির সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেখানে তিনি এই বছর রাজ্য সরকারের ভূমিকা ও পদক্ষেপ নিয়ে বেশ কিছু ঘোষণা করবেন।’ এর পাশাপাশি শিলিগুড়ির কার্নিভাল নিয়ে গৌতমবাবু বলেন, ‘শহরে এই মুহূর্তে বড় কার্নিভাল আয়োজন করা সম্ভব নয়। রাস্তার অপ্রতুলতা রয়েছে। তবে বর্ধমান রোড খুলে গেলে সেখানে আয়োজন করা যায় কি না তা নিয়ে আমরা রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করব।’

এ দিকে, তৃণমূলের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ বলেন, ‘আমাদের এই শোভাযাত্রার উদ্দেশ্যই ছিল দু মাস আগে মানুষকে জানান দেওয়া যে মা আসছেন। দুর্গাপুজোর বিশ্ব স্বীকৃতি উদযাপনের এ যেন প্রথম পদক্ষেপ। বাংলার বাঙালি হিসেবে এ আমাদের কাছে বিরাট গর্বের। তাই আমাদের শোভাযাত্রায় ট্যাবলো থেকে ঢাক কোনও কিছুই বাদ ছিল না।’

Next Article