India-Bangladesh: ভারতের পিঠে চেপে বছরে প্রায় ১৫৭ কোটি ডলারের ব্যবসা, সব বন্ধ! শেষ রাতে ভারতের মারে কী বলছে বাংলাদেশ?

India-Bangladesh: বৈদেশিক বাণিজ্য দফতর, এখন থেকে ভারতের সব সীমান্ত বা বন্দর থেকে বাংলাদেশে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাবার, প্লাস্টিকের জিনিসপত্র, কাঠের আসবাব, রঙ কিছুই আর আমদানি করা যাবে না। তা নিয়েই জোর চর্চা দুই দেশে।

India-Bangladesh: ভারতের পিঠে চেপে বছরে প্রায় ১৫৭ কোটি ডলারের ব্যবসা, সব বন্ধ! শেষ রাতে ভারতের মারে কী বলছে বাংলাদেশ?
প্রতীকী ছবি Image Credit source: TV 9 Bangla

| Edited By: জয়দীপ দাস

May 18, 2025 | 12:22 PM

শিলিগুড়ি: যে ভারতের হাত ধরে স্বাধীনতার মুখ দেখেছিল, সেই ভারতের বিরুদ্ধেই বিদ্বেষের চাষ হচ্ছে গোটা দেশে। যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে পদ্মপাড়ে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিল ভারত, সেই পাকিস্তানই এখন তাঁদের প্রিয় বন্ধু। কথা হচ্ছে বাংলাদেশ নিয়ে। এই বাংলাদেশ থেকেই এবার বেশ কিছু পণ্য সোজাপথে ভারতে ঢুকতে পারবে না। কোন কোন পণ্য এই তালিকায় রয়েছে শনিবার সেই তালিকা দিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের অধীনে থাকা বৈদেশিক বাণিজ্য দফতর (DGFT)। তাতেই হইচই পড়ে গিয়েছে দুই দেশে। শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে ইউনুস প্রশাসনের অন্দরেও। 

বৈদেশিক বাণিজ্য দফতর, এখন থেকে ভারতের সব সীমান্ত বা বন্দর থেকে বাংলাদেশে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাবার, প্লাস্টিকের জিনিসপত্র, কাঠের আসবাব, রঙ কিছুই আর আমদানি করা যাবে না। তবে ভারত হয়ে নেপাল-ভুটান যেতে কোনও সমস্যা নেই। ভারতের এই সিদ্ধান্তেই মাথায় হাত সে দেশের ব্যবসায়ীদের। উদ্বেগের ছবি ধরা পড়েছে স্পষ্টতই। 

বাংলাদেশের প্রথমসারির সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর প্রতিবেদন বলছে, ইতিমধ্যেই সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করে দিয়েছেন বাংলাদেশের রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা স্পষ্টতই বলছেন ভারতের এই বিধিনিষিধে দেশের রপ্তানি ক্ষেত্র মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রায় ১৫৭ কোটি ডলারের জিনিসপত্র এসেছিল। এই সব কিছুর মধ্যে রেডিমেড পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্যই বেশি ছিল। তাতেই যদি কোপ পড়ে যায় তাহলে ব্যবসায় যে কোপ পড়বে তা বলাই বাহুল্য। 

অনেকেই বলছেন, বাংলাদেশ থেকে ভারতে স্থলপথে বাণিজ্য করা অনেকটাই সহজ। জিনিস আদান-প্রদানে সময় অনেক কম লাগে। কিন্তু, অন্য ক্ষেত্রে তা লাগে না। তবে এ ক্ষেত্রে মনে রাখ ভাল, গত ১৫ এপ্রিল বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) স্থলপথে ভারত থেকে সুতা আমদানি নিষিদ্ধ করে। এবার ভারতের নতুন সিদ্ধান্তে জোরদার চাপানইতোর সে দেশে। সে দেশের বাণিজ্যসচিব মো. মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলছেন, “বিচ্ছিন্নতা বাড়লে দু-দেশের বাণিজ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আমরা এ নিয়ে ভারতের সঙ্গে দর কষাকষি করব।” চাপানউতোর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলেও।