
শিলিগুড়ি: চাপ বাড়াচ্ছে ভারত। হাঁটু কাঁপছে পাকিস্তানের। এরই মধ্যে উত্তরবঙ্গের আকাশে উড়ছে রাফায়েল, মিগের মতো সব বিধ্বংসী যুদ্ধ বিমান। সূত্রের খবর, পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর বর্তমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তান সীমান্তে যেমন বায়ুসেনা তৎপর রয়েছে, তেমনই এবার চিন সীমান্তেও তৎপরতা বাড়াচ্ছে বায়ুসেনা ও ভারতীয় সেনা। নজরে রাখা হচ্ছে বাংলাদেশ সীমান্তেও।
উত্তরবঙ্গ ও উত্তরপূর্বাঞ্চলকে যাঁরা হাতের তালুর মতো চেনেন সেই প্রাক্তন সেনা কর্তাদের দাবি, চিনকে বিশ্বাস করা কঠিন। বর্তমানে যেহেতু পাকিস্তানে দিকে সব নজর রয়েছে তাই এই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারে লালফৌজ। নতুন করে অশান্তি তৈরি হতে পারে ভারত-চিন সীমান্তে। অন্যদিকে সাম্প্রতিককালে বরাবরই পাকিস্তানের হাত শক্ত করার কাজ করেছে চিন। এখন ভারতের সঙ্গে নতুন করে পাকিস্তানের সম্পর্কের অবনতি হলে চিনের বিষ নজর পড়তে পারে ভারতের উপর। আক্রমণ আলসতে পারে চিন সীমান্ত থেকেও। ফলে এখন থেকেই সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে চাইছে ভারতীয় সেনা। তবে উদ্বেগের শেষ এখানেই নয়। বাংলাদেশে অস্থিরতার সুযোগে সে দেশের মাটিকেও ব্যবহার করতে পারে পাকিস্থান-চিন। এই আশঙ্কাও ক্রমশ বাড়ছে। প্রাক্তন সেনা কর্তারা বলছেন, প্রস্তুতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের শক্তি রয়েছে সমস্ত কিছুকে প্রতিহত করার।
নাথুলা ছাড়াও ঠিক কোন কোন সীমান্তে এই মুহুর্তে বাড়তি নজর?
বাগডোগরা, হাসিমারা বায়ুসেনা ছাউনিতেও দেখা যাচ্ছে জোর তৎপরতা। অসম ও অরুণাচলেও তৎপরতা শুরু করেছে সেনা। কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে বায়ুসেনা। আকাশে উড়ছে রাফায়েল, মিগ। অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল রাকেশ বালি যদিও বলছেন, যুদ্ধ হবে বলে মনে করছি না। দুর্বল দেশ পাকিস্থান। ওরা যুদ্ধ চায় না। কিন্তু এই এলাকা অত্যন্ত স্পর্শকাতর। একদিকে চিন আছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার হতে পারে। তাই সতর্ক থাকাটাই শ্রেয়। বাংলাদেশ এখন কি ভূমিকা নেবে তা অর্থনীতির ছাত্র ইউনূস ঠিক করবেন। অন্যদিকে অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল দিপঙ্কর ধর বলেন, সক্রিয় ও সতর্ক থাকতেই হবে। উত্তর-পুর্বাঞ্চলেও থ্রেট আছে। সে কারনে সেনারা সক্রিয় রয়েছে। এই অঞ্চলে আমাদের একাধিক এয়ারবেস আছে। স্থলসেনার শক্ত ঘাটি আছে। তার দাবি, সব মিলিয়ে সবদিক থেকেই প্রস্তুত আছে ভারত।